Firecrackers (Photo Credits: Pixabay)

চণ্ডীগড়, ৯ মেঃ ভারত-পাকিস্তান জুড়ে উত্তেজনার পরিস্থিতি। হামলা-পালটা হামলা। পহেলগাম হামলার জবাবে অপারেশন সিঁদুর' (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানের বহু জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। এর পরেই ফুঁসে উঠেছে ইসলামাবাদ। বৃহস্পতিবার রাতভর জম্মু কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) নিয়ন্ত্রণরেখা (LoC) বরাবর গুলিবর্ষণ, ড্রোন হামলা চালায় পাক সেনা। রাজস্থান, পঞ্জাবের একাংশেও ডোন হামলা চলেছে। ছুড়েছে ক্ষেপণাস্ত্র। চণ্ডীগড়ে শোনা যাচ্ছে সাইরেনের শব্দ। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা পরিস্থিতিতে যাতে সাধারণ নাগরিক সজাগ এবং সচেতন থাকে তার জন্যে বাজছে সাইরেন। যে কোনও মুহূর্তে চন্ডীগড়ে উড়ে আসতে পারে পাকিস্তানের (Pakistan) ছোঁড়া মিসাইল। যার জন্যে নাগরিকদের সতর্ক করছে স্থানীয় প্রশাসন। বর্তমান উত্তেজনার পরিস্থিতি বিবেচনা করে চণ্ডীগড়ে বিবাহ, ধর্মীয় উৎসব এবং অন্যান্য উদযাপনের সময় আতশবাজি পড়ানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃনিয়ন্ত্রণরেখা পার করে ভারতীয় সেনার পাকিস্তানে প্রবেশ, রাজৌরিতে সুইসাইড হামলা, করাচি বন্দর ধ্বংস, খবরের চেয়ে বেশি রটছে ভুয়ো খবর, সতর্কবার্তা

শুক্রবার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের তরফে বিবৃতি জারি করে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আতশবাজি নিষিদ্ধকরণ সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। জেলা জুড়ে বিবাহ, ধর্মীয় উৎসব, অন্যান্য উদযাপন কোন ক্ষেত্রেই পড়ানো যাবে না আতশবাজি। উত্তেজনার এই পরিস্থিতিতে চারিদিকে ঘটছে বিস্ফোরণ। এই আহবে আকাশে আতশবাজির বিস্ফোরণ সাধারণ নাগরিকের মধ্যে অবাঞ্ছিত আতঙ্কের সৃষ্টি করতে পারে। ৯ মে থেকে শুরু করে ৭ জুলাই পর্যন্ত আতশবাজির উপর এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

আতশবাজিতে নিষেধাজ্ঞাঃ

শুক্রবার সকাল থেকেও সাইরেন বাজতে শুরু করে চণ্ডীগড়ে। প্রশাসনের নির্দেশ, চণ্ডীগড়বাসী যেন এই মুহূর্তে কেউ বাড়ির বাইরে না বের হন। ঘরের দরজা, জানলা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। কেউ যেন ব্যালকনিতে এসে না দাঁড়ান সেই বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। চন্ডীগড়ের বায়ুসেনা ছাউনি থেকে শুক্রবার সকালেই এয়ার সাইরেন বাজানো হয়। এয়ার সাইরেন বাজিয়ে প্রত্যেককে সতর্ক হয়েছে। ভারত-পাকি উত্তেজনা পরিস্থিতিতে সেখানকার মানুষ যেন অত্যন্ত সতর্ক এবং সচেতনভাবে থাকেন, সেই আবেদনও জানানো হয় প্রশাসনের তরফে।