Shraddha Walker, Aftab Amin Poonawala (Photo Credit: Twitter)

দিল্লি, ১৬ নভেম্বর: ঘরের জিনিসপত্র কেনা নিয়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে  ঝগড়া শুরু হয় ১৮ মে। ওইদিনই আবতাব মনস্থির করে নেয় শ্রদ্ধাকে খুন করবে বলে। পুলিশি জেরার মুখে এমনই জানায় আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। তবে  শ্রদ্ধার সঙ্গে থাকলেও, সে তাঁকে সহ্য করতে পারত না। ফলে শ্রদ্ধাকে খুনের পরিকল্পনা অনেক আগে থেকেই আফতাব করে নেয় বলে পুলিশকে জানায়। ১৮ মে ঘরের জিনিসপত্র কেনা নিয়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে ঝগড়ার মাঝে আফতাব তাঁর গলা টিপে ধরে। এরপর শ্বাসরোধ করে শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব। শ্রদ্ধাকে খুনের পর সারারাত তাঁর দেহ নিজের ঘরে রেখে দেয়। সেই সঙ্গে গুগলে সার্চ করতে শুরু করে, কোন ধরনের ছুরি ব্যবহার করে শ্রদ্ধার দেহাংশ খণ্ড করা যায় বলে। শুধু তাই নয়, শ্রদ্ধার দেহাংশ সারা রাত নিজের ঘরে রেখে পরদিন ছুরি এবং ৩০০ লিটারের ফ্রিজ আবতাব কিনে আনে বলে পুলিশি জেরার মুখে জানায় অভিযুক্ত।

শ্রদ্ধাকে খুনের পর যাতে কেউ যাতে তাকে সন্দেহ না কররে, তার জন্য দেহাংশ প্রথমে ফ্রিজে রাখে আবতাব। এরপর কীটনাশক দিয়ে ফ্রিজ এবং ঘর পরিষ্কার করে, তারপর মেহেরৌলির জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় তা ছুঁড়ে ফেলে আবতাব। শ্রদ্ধাকে খুনের পর কেউ যাতে সন্দেহ করতে না পারে, তার জন্য প্রেমিকার ইনস্টাগ্রাম, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আফতাব। শ্রদ্ধার বাড়ির লোক কিংবা তাঁর বন্ধুরা যাতে কোনওভাবে আফতাবকে সন্দেহ না করে, তার জন্য মোবাইল ফোনও নিজের কাছে রাখে।

আরও পড়ুন:  Shraddha Walker Murder: সত্যি বের করতে শ্রদ্ধা খুনে অভিযুক্ত আফতাবকে হেফাজতে চাইবে পুলিশ

মেয়েকে ফোনে না পেয়ে বাড়ির লোক যখন শ্রদ্ধার নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে, সেই সময় আফতাব একের পর এক মিথ্যের আশ্রয় নেয়। ১৮ মে ঝগড়ার পর শ্রদ্ধা দিল্লির ছত্তরপুরের ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে গিয়েছেন বলে দাবি করে আফতাব। শুধুমাত্র মোবাইল নিয়েই শ্রদ্ধা ছত্তরপুরের ফ্ল্যাট ছেড়েছেন। ফলে শ্রদ্ধার পোশাক থেকে শুরু করে ব্যবহারের জিনিসপত্র সবই ফ্ল্য়াটে রয়েছে বলেও জানায় আফতাব। জানা যায়, শ্রদ্ধার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আফতাব ৩১ মে তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে চ্যাট করে।  ১৮ মে  খুনের পর যাতে ওই ঘটনা শ্রদ্ধার বন্ধুরা ঘুনাক্ষরেও আঁচ করতে না পারে, তার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করে ফেলে আফতাব। সবকিছু মিলিয়ে লিভ ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুনের পর আফতাব যেভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করে, তা সামনে আসার পর চমকে উঠছেন তদন্তকারীরাও।