মোরাদাবাদ (উত্তর প্রদেশ), ১৬ জুন: আর দিন পাঁচেক পরেই দুজনে একসঙ্গে থাকার শপথ নেওয়ার মন্ত্র উচ্চারণ করত। কিন্তু বিয়ের ঠিক আগে শাড়ি কিনতে যাওয়ার নাম করে হবু স্ত্রী-কে মেরেই ফেলল ছেলেটা। মুরাদাবাদের (Moradabad) সূর্যনগর গ্রামে আগামী ২০ জুন ১৯ বছরের টিনার (Tina) সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল জিতিনের (Jitin)। দুজনেই সম্পর্ক ছিল আগে থেকেই। প্রেম থেকেই বিয়ের কথা ঠিক হয় দুই বাড়ি থেকে। জিতিন বিয়েতে শুরুতে বিয়েতে রাজি হচ্ছিল না। কিন্তু সে রাজি হওয়ার পর বিয়ের দিন ঠিক হয়, বিয়ের কার্ড ছাপানো হয়। তখন কে জানত জিতিন আসলে মনে মনে হবু স্ত্রীকে খুনের ফন্দি এঁটেছিল বলেই বিয়েতে রাজি হওয়ার ভান করেছিল মাত্র। আরও পড়ুন: ভয়াবহ, মেয়ের উত্যক্তকারীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে 'খুন' করলেন বাবা
জিতিন মেয়ের বাড়িতে জানায় সে তার হবু স্ত্রী-কে বৌভাতের অনুষ্ঠানের জন্য শাড়ি কিনে দিতে চায় তাই নিয়ে বেরোবে। মেয়ের মা বিয়ের কার্ড দিতে যাওয়ার পথে টিনাকে বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। মেয়ের বাবা তখন বিয়ের প্যান্ডেলের কাজে ব্যস্ত। বাড়িতে কিছু অতিথিরাও চলে এসেছে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় বাবাকে প্রণাম করে, তাড়াতাড়ি ফিরে আসছে বলে যায় টিনা। কিন্তু না, টিনার আর বাড়িব ফেরা হল না। টিনাকে শাড়ি কিনে দেওয়ার নাম করে ডেকে খুন করে রাস্তায় ফেলে দিল জিতিন। দুপুর ১১টায় তার মা তাকে বাসস্টপে ছেড়ে আসে, আর টিনার মৃতদেহ উদ্ধার হয় দুপুর আড়াইটে নাগাদ।
জিতিন নিজেই টিনার মৃত্যুর খবর জানিয়ে ফোন করে বাড়িতে। টিনা দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে বলে সে জানায়। কিন্তু পুলিশ এই মৃত্যুতে সন্দেহ হয়। তদন্তের পর বোঝা যায় জিতিনই রীতিমত পরিকল্পনা করে তার হবু স্ত্রী-কে গলা টিপে খুন করেছে। পুলিশি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে জিতিন জানিয়েছে, তার পাত্রীকে পছন্দ ছিল না, তাই সে বিয়ে ভেস্তে দিতেই এই খুন করে। তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। টিনার বাবা জানায়, মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলেই জিতিনকে তারা পাত্র হিসেবে মেনে নেয়। জিতিন কখনই ভাল ছেলে ছিল না। তবে ও যে এভাবে টিনাকে খুন করবে তা ভাবা যায়নি বলে তা কেউ আন্দাজ করতে পারেনি।