দেওয়াস: গত ৬ ডিসেম্বর বারোথা (Barotha) থানা এলাকার বাঙ্গরদায় (Bangarda) এক কিশোরকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাবাকে নিয়ে প্রথম দিন থেকেই সন্দেহ ছিল পুলিশের। খুনের ঘটনায় উঠে এসেছে বাবার অবৈধ সম্পর্কের কোণ। আত্মীয় ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় বাবাকে দেখায় নিরীহ ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে সন্দেহ। পুলিশ বাবা এবং ওই স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে।পুলিশ কন্ট্রোল রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার ডাঃ শিবদয়াল সিং (Shivdayal Singh) জানান, ৬ ডিসেম্বর বাঙ্গরদা গ্রামের মেহেরবান চৌহানের (Meherban Chauhan) খামারের ঝোপের মধ্যে এক অচেনা ছেলের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। গ্রামবাসীরা মৃতদেহটি ১৫ বছরের মোহনলাল চৌহানের (Mohanlal Chauhan) ছেলে হরিওম চৌহানের (Hariom Chauhan) বলে শনাক্ত করেন বাবা। গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করে দেখা যায়, গ্রাম ও আশপাশের কারও সঙ্গে কিশোর ও তার পরিবারের কোনো বিরোধ ছিল না। Mumbai Shocker: প্রতিবেশীর ঘর থেকে গয়না এবং অর্থ চুরি, গ্রেফতার মহিলা এবং নাবালক প্রেমিক
ঘটনার গুরুত্ব বুঝে পুলিশ সুপার তিনটি বিশেষ দল গঠন করেন।এসপির নির্দেশে জিজ্ঞাসাবাদে বৈজ্ঞানিক কৌশল ব্যবহার করে দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়। ক্রমাগত চেষ্টায় মোহনলাল অপরাধ স্বীকার করে। পুলিশ এর আগে মোহনকে সন্দেহের বশে হেফাজতে নিয়ে ক্রমাগত বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সূত্রের খবর, জেরার সময় মোহনলালকে ঘুমোতেও দেওয়া হয়নি। টিআই শৈলেন্দ্র সিং মুকাতি (TI Shailendra Singh Mukati) জানান, অভিযুক্তরা পুরো ঘটনা বিস্তারিত বর্ণনা করেছে। ৫ ডিসেম্বর ভোর ৩টে নাগাদ নিজের বাড়ি থেকে মাঠে জল দেওয়ার কথা বলে নিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত। বাড়ির পাশে খামারে কিশোরকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। টিআই-এর দাবি, অভিযুক্ত মোহনলাল ছেলে হরিওমকে নিয়ে যায় অন্তরসিং বাদোয়ায়ের খামারে। সেখানে তৈরি বাড়ির ছাদে পাঠিয়ে গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে টান মারে এর পরও দড়িটি বারে বেঁধে ছেলেকে সিলিং থেকে নিচে ঝুলিয়ে রাখে। এরপর কাস্তে দিয়ে দড়িটা কেটে নিলে হরিওম ছিটকে পড়ে। পরে তাকে মৃত ভেবে পাশের খোলা কুয়োর কাছে নিয়ে গিয়ে কাস্তে দিয়ে তার দুই হাত কেটে প্রায় ৩৫০ ফুট গভীরে ঢুকিয়ে দেয়। সে হরিওমের শার্টটি বোরওয়েলের মধ্যে রেখে দেহটি মাঠের কাছে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়।