নতুন দিল্লি, ৪ জানুয়ারি: নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন কৃষক নেতারা। সপ্তম দফার বৈঠকের পরও মিলল না সমাধানসূত্র। আগামী ৮ জানুয়ারি ফের কেন্দ্র-কৃষক বৈঠক হবে। কৃষকেরা কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড়। ৪০টি কৃষক সংগঠনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যদি ২৬ জানুয়ারির মধ্যে এ বিষয়ে কোনও ফয়সালা না হয়, তবে সংযুক্ত কিষান মোর্চার (Samyukt Kisan Morcha) তরফে হাজার হাজার কৃষক ট্রাক্টরে করে রাজধানীতে এসে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারোডে এসে অংশ নেবে কৃষকেরা। ওই দিনই দেশে আসছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (UK Prime Minister Boris Johnson)।
হাড়কাঁপানো ঠান্ডা আর অনর্গল বৃষ্টিও এতটুকু মনোবল কমাতে পারেনি কৃষকদের। কম্বল, চাদর, শীতবস্ত্র, তাঁবু ভিজে এক সা, তবুও অনড় শ'য়ে শ'য়ে কৃষক। সপ্তম বৈঠকের আগে সারাদিন কাঠে আগুন ধরিয়ে চলল গা সেঁকা। ঠান্ডায় ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৯ জন। ১.১ ডিগ্রিতে কৃষকদের কাঁপতে দেখার সাক্ষী গোটা দেশ। প্রায় ৩৭ দিন ধরে চলছে তাঁদের আন্দোলন। আরও পড়ুন, নেতাজির জন্মশতবর্ষে সকলকে নিজের বাড়িতে শঙ্খ বাজানোর নির্দেশ; 'চোখের আলো' প্রকল্পে দরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে চশমা প্রদান, ঘোষণা মমতা ব্যানার্জির
কৃষক নেতা মনোজিৎ সিং রবিবার জানিয়েছেন,''১৩ জানুয়ারি তিন কালো আইনের কপিতে আগুন ধরিয়ে লোহরি উৎসব পালন হবে। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের জন্মদিন ২৩ জানুয়ারি কিষান দিবস হিসেবে পালন হবে।"
এতদিন হয়ে যাওয়ার পরও সরকার বিষয়টি গুরুত্ব না দেওয়ায় তেঁতে উঠছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীও বিবৃতি জারি করে মোদি সরকারকে নিশানা করেছেন।