দিল্লি, ১৫ ফেব্রুয়ারি: শুক্রবার গোটা দেশ জুড়ে গ্রামীণ ভারত বনধের (Gramin Bharat Bandh) ডাক দেওয়া হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি যে গ্রামীণ ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে, সেখানে জাতীয় সড়ক বন্ধ করা হবে না। এমনই জানালেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। ২০২০ সালে যে কৃষক আন্দোলন হয়, তার প্রধান মুখ ছিলেন রাকেশ টিকায়েত (Rakesh Tikait)। এবার কৃষক বিক্ষোভ জোরদার করতে গিয়ে যে বনধের ডাক দেওয়া হয়, সে বিষয়েও তিনি মুখ খোলেন।
রাকেশ টিকায়েত বলেন, গ্রামীণ ভারত বনধে, শুধু গ্রামের কাজকর্ম বন্ধ করা হবে। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা বলেন, গ্রামের বহু দোকানদার তাঁদের বলছেন, দুপুরের খাবারের আগে পর্যন্ত তাঁরা দোকান খোলা রাখবেন। আবার অনেকে বলছেন, দুপুরের পর থেকে তাঁরা দোকান খুলবেন। সবকিছু মিলিয়ে এই বনধের মাধ্যমে প্রমাণিত হবে, কত মানুষ তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। তাঁদের সমর্থন করছেন।
আরও পড়ুন: Farmers Protest: বাড়ছে কৃষক বিক্ষোভের আঁচ, ইন্টারনেট বন্ধ বহু এলাকায়
২০২০ সালে যাঁরা কৃষক আন্দোলনের (Farmers Protest) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁরা 'দিল্লি চলোর' সঙ্গে নেই। কিন্তু সময়ুক্ত কিষাণ মোর্চা যে দাবিদাওয়াগুলি শুরু করেছে, তাদের প্রতি টিকায়েতদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলেও জানান তিনি। ফলে কৃষকরা শুক্রবার মাঠে যাবেন না। নিজেদের কাজ করবেন না। এই বনধে শ্রমিক শ্রেণির মানুষও তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন বলে জানান কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত।
শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত চলবে গ্রামীণ ভারত বনধ। ওই সময় গ্রামের সমস্ত দোকান বন্ধ থাকবে। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত কৃষকরা চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি চালাবেন। আগামীকাল কোনও কৃষক মাঠে গিয়ে তাঁদের কাজ করবেন না। মনরেগার কাজও বন্ধ থাকবে। সবজি কেনাবেচাও শুক্রবার বন্ধ থাকবে।
তবে সরকারি অফিস, বেসরকারি অফিস, স্কুল, কলেজ সব খোলা থাকবে গ্রামীণ ভারত বনধে। যদিও গাড়ি চলাচল না করলে, বহু মানুষ বিপাকে পড়তে পারেন। পাশাপাশি শহরে দুধ এবং সবজি সরবারহও বন্ধ থাকবে বলে জানা যাচ্ছে।