ভোপাল, ৩১ ডিসেম্বর: পশুপ্রেম মানুষকে অনেক বেশি নরম করে তোলে। যাঁর নিদর্শন ওম নারায়ণ ভার্মা। পেশায় কৃষক ওম নারায়ণ ভার্মা। বয়স ৫০। মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলার বারিবাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি তাঁর পোষা কুকুরের নাম রাখেন জ্যাকি। নিজের পোষ্যের নাম সম্পত্তির অর্ধেক লিখে দেন তিনি। উইল অনুযায়ী, তাঁর মৃত্যুর পর দুই একর জমির উত্তরাধিকারী হবে তাঁর পোষ্য। এই আচরণের পিছনে একমাত্র কারণ ছেলের আচরণে বিরক্ত হয়ে কুকুরের নামে তাঁর সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হিসাবে লিখে দেন।
তিনি নিজের নামে নিবন্ধিত জমির অবশিষ্ট অংশটি উইল করেন তাঁর স্ত্রী চম্পার নাম। একটি হলফনামায় তাঁর ইচ্ছার লিপিবদ্ধ করে অনুগত কুকুরটিকে তাঁর আইনী উত্তরাধিকারী হিসাবে তুলে ধরার বিষয়টিও তুলে ধরেন। উইলে লেখেন, "আমার স্ত্রী চম্পা এবং পোষা কুকুর জ্যাকি আমার সেবা করে এবং আমি এখন পর্যন্ত সুস্থ রয়েছি এবং এ দু'জনই আমার কাছে প্রিয়", তাই জমির একটি অংশ হস্তান্তর করেন। আরও পড়ুন, করোনা আবহে ১ জানুয়ারি কল্পতরু উৎসব বাতিল দক্ষিণেশ্বরে, দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ
১১ মাস বয়সী পোষা কুকুরটিকে যাতে তাঁর মৃত্যুর পরে ভোগান্তি পোষণ না করতে হয় তা নিশ্চিত করার জন্য তিনি উইলে উল্লেখ করেন যে কেউ তাঁর মৃত্যুর পরে কুকুরের সেবা করবে সে তাঁর দেওয়া জমির অংশটি পাবেন। তবে এর মধ্যে আরেকটি গল্প রয়েছে। স্থানীয় সরপঞ্চ তাঁর সঙ্গে কথা বলার পর জানা যায়, ছেলেদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে এই উইলটি তিনি করেন। এমনকি উইল বাতিল করার সিদ্ধান্তও জানিয়েছেন।