প্রতীকী ছবি(Photo Credit: Getty Images)

দিল্লি, ২ সেপ্টেম্বর: দেশের অর্থনৈতিক মন্দার গতি যে কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠছে, তা ভালমতোই টের পাচ্ছে আজকের ভারত। সাবান বিক্রিতেও ঘাটতি, তাই উৎপাদন না কমিয়ে বরং সাবানের দামি কমিয়ে দিল হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের মতো সংস্থা। মন্দার গতিকে রুদ্ধ করতে মিনি বাজেট পেশ করে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। পরিস্থিতি যে সত্যিই ভয়াবহ, সোমবার তা আরও স্পষ্ট হল। জানা গেল, জুলাই মাসে দেশের প্রধান আটটি শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদনে বৃদ্ধির হার কমে ২.১ শতাংশে নেমে এসেছে। এদিকে গত বছর জুলাইয়ে কোর সেক্টরের বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৩ শতাংশ। সেখান থেকে বৃদ্ধির হার এতটা নিচে নেমে যাওয়া উদ্বেগজনক বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে রবিবারই নরেন্দ্র মোদি সরকারকে এক হাত নিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তাঁর মতে, নোটবন্দির অ্যাডভেঞ্চরিজম এবং যেমন তেমন করে জিএসটি তথা পণ্য পরিষেবা কর ব্যবস্থা চালু করার ফলেই এমন হয়েছে। মনমোহনের কথায়, শিল্পে উৎপাদনের ছবিটাও হতাশাজনক। মোদিকে পরামর্শ দিয়ে তিনি আরও বলেছিলেন, প্রতিহিংসার রাজনীতি ছেড়ে এ বার কাজের কাজ করতে হবে সরকারকে। ঠিক তার একদিনের মাথায় কোর সেক্টরের বৃদ্ধির হারের এহেন পরিসংখ্যান যে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে চাপে ফেলতে চলেছে তা একপ্রকার নিশ্চিত। যদিও সামগ্রিক ভাবে জুলাই মাসে শিল্পোৎপাদনে বৃদ্ধির হার কত ছিল তা এখনও পরিসংখ্যান মন্ত্রক জানায়নি। তা এ মাসের শেষে জানা যাবে বলে মন্ত্রক জানিয়েছে। তবে জুলাইতে বৃদ্ধির হার কমই থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, জুন মাসে শিল্পোৎপাদনে বৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ২ শতাংশ। আরও পড়ুন-MEA On NRC: নাগরিকপঞ্জী থেকে যাঁরা বাদ পড়েছেন তাঁরা 'দেশহীন', 'বিদেশী' নন, জানালেন বিদেশমন্ত্রক মুখপাত্র

উল্লেখ্য, শিল্পে উৎপাদনের সূচক তথা ইন্ডেক্স অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশনের ক্ষেত্রে চল্লিশ শতাংশ গুরুত্ব দেওয়া হয় কোর সেক্টরকে। এর মধ্যে আটটি প্রধান শিল্প রয়েছে,–কয়লা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, কাঁচা পেট্রোলিয়াম তেলের পরিশোধন ইত্যাদি। সোমবার সরকার জানিয়েছে, কয়লা, কাঁচা তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং পরিশোধনাগারে উৎপাদনে বৃদ্ধির হার জুলাই মাসে ছিল নেগেটিভ। অর্থাৎ আগের থেকে উৎপাদন কমেছে। প্রধানমন্ত্রী আচ্ছে দিনের প্রতিশ্রুতি যে ফাঁকা বুলি তা এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট।