নতুন দিল্লি, ১ সেপ্টেম্বর: কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেই আজ মঙ্গলবার চলতি বছরের জয়েন্টের প্রবেশিকা পরীক্ষা (JEE Main 2020 examination)। পরীক্ষার্থীরা করোনা সংক্রান্ত নিয়মকানুন মেনেই পরীক্ষেকেন্দ্রে পৌঁছাবে। সামাজিক দূরত্ব বিধিও মেনে চলা হবে। পরীক্ষা সফল করতে সবরকমের সাবধানতা ও সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমনটাই ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। ৯৯ শতাংশেরও বেশি পরীক্ষার্থীকে নিজের শহরের পছন্দের পরীক্ষাকেন্দ্র অ্যাসাইন করা হয়েছে। ২০২০-র জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৭০ থেকে বাড়িয়ে ৬৬০টি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, পরীক্ষার শিফটের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ৮-টায় শুরু হওয়া পরীক্ষা চলবে বেলা ১২টা পর্যন্ত। প্রথমে বলা হয়েছিল ১.৩২ লাখ পড়ুয়া পরীক্ষা দেবে এক শিফটে। পরে তা কমিয়ে ৮৫ হাজার করা হয়।
জয়েন্টের প্রবেশিকা পরীক্ষার গাইডলাইন অনুযায়ী প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে সুশৃঙ্খলতা বজায় রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে বেরতে হবে। ড্রপ বক্সের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা কর্মীকে অ্যাডমিট কার্ড দেখানোর পর প্রত্যেক পরীক্ষার্থী পাশে থাকা অ্যাডভাইজড বক্সে রাফশিট ও অ্যাডমিড কার্ড ফেলবে। পরীক্ষায় ব্যবহার হবে এমন মনিটর, কীবোর্ড, মাউস, ওয়েবক্যাম, ডেস্ক ও চেয়ার সবই খুব ভালভাবে স্যানিটাইজ করতে হবে। সরকারি তরফে আগেই এই নির্দেশিকা পৌঁছেছে পরীক্ষেকেন্দ্রের প্রশাসকের কাছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে পর্যাপ্ত স্যানিটাইজার থাকবে। তাই পরীক্ষার্থীরা চাইলে নিজের মতো করে ফের মনিটর, কীবোর্ড, মাউস ওয়েবক্যাম স্যানিটাইজ করে নিতে পারে। করোনাভাইরাসের প্রভাবে দিশেহার দেশ। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখে পরীক্ষার বন্দোবস্ত হয়েছে। তাই আজ ১ তারিখ থেকে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে চলতি বছরের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা। একই ভাবে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০-র ন্যাশনাল এলিজিবিলিট কাম এন্ট্রান্স টেস্ট হবে। আরও পড়ুন-COVID-19 Positive Student: পিপিই কিট পরে একাই ডিপ্লোমা পরীক্ষা দিলেন কোভিড আক্রান্ত ছাত্রী
এর আগে সোমবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখিয়াল নিশাঙ্ক বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে এই মর্মে আবেদন রেখেছেন যে পড়ুয়ারা যেন জয়েন্টের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসার সুযোগ পায়। সেজন্য পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সবরকমের সাহায্যের বন্দোবস্ত করুন। তথ্য বলছে চলতি বছরে ৮ লাখ ৫৮ হাজার পড়ুয়া জয়েন্টের মেন পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছে। যেখানে ১৫ লাখ ৯৭ হাজার পড়ুয়া ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট দিচ্ছে।