নতুন দিল্লি, ৩০ নভেম্বর: ২০২১-এর শুরুর দিকেই ভারতে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক মিলবে। রবিবার এক আলোচনায় একথা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষবর্ধন (Dr Harsh Vardhan)। আগামী জুন জুলাইয়ের মধ্যে ৩০ কোটি ভারতীয়র নাগালে পৌঁছে যাবে কোভিডের ভ্যাকসিন। মৃত্যুর নিরিখে বিশ্বের করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। তিনি বলেন, “২০২১-এর শুরুতে একটি ভালো কার্যকারী নিরাপদ প্রতিষেধক ভারতে চলে আসবে, তানিয়ে আমি সম্পূর্ণ আশাবাদী। এবং প্রতিষেধক আসার সঙ্গে সঙ্গেই তা ১৩৫ কোটি দেশবাসীর কাজে সহজলভ্য করে তোলাই হবে মূল লক্ষ্য। যাইহোক আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী জুন জুলাইয়ের মধ্যে ৩০ কোটি ভারতীয় প্রতিষেধক পেয়ে যাবেন।” আরও পড়ুন-Kiran Maheshwari: ফের করোনার কোপ, প্রয়াত রাজস্থানের বিজেপি নেত্রী কিরণ মাহেশ্বরী
তবে চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সামনের সারিতে থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা কর্মীরা, পুলিশ বিভাগ, এবং ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে থাকা নাগরিকরাই প্রথমে প্রতিষেধকের সুবিধা পাবেন। ভ্যাকসিন কোথায় স্টোর করা হচ্ছে। ঠিক কি ধরনের তাপমাত্রায় তা কার্যকরী থাকছে, তার সবটাই ট্র্যাক করা হবে। যাঁরা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করবেন, তাঁদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই তালিকায় বিভিন্ন এনজিও-র কর্মীরাও থাকবেন। এনিয়ে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গেও কথা চলছে, সুতরাং জনগণকে এই নিশ্চয়তা দিতে পারি যে কার্যকরী কোভিড প্রতিষেধক খুব শিগগির দেশে চলে আসবে এবং তা সহজলভ্য করা হবে। তবে গত সপ্তাহেই জানা গিয়েছিল, ফাইজার ভ্যাকসিনকে ভারতে হয়তো আনা নাও হতে পারে। বিভিন্ন সংস্থার প্রতিষেধক পরীক্ষার পরেই সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।