
বেঙ্গালুরু, ২১ এপ্রিল: কর্ণাটক (Karnataka) পুলিশের প্রাক্তন ডিজিপি ওম প্রকাশের (DGP OM Prakash) মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়াতে শুরু করেছে। ওম প্রকাশের মৃত্যু কীভাবে হল, তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। রিপোর্টে প্রকাশ, ওম প্রকাশের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী পল্লবীর ঝগড়া শুরু হয়। ঝড়গার পরই পল্লবী ওম প্রকাশের দিকে লঙ্কার গুড়ো ছুঁড়ে দেয়। লঙ্কার ঝাঁঝে ওমপ্রকাশের চোখ জ্বলতে শুর করলে, তাঁর হাত, পা বেধে, ছুরি চালানো হয়। স্ত্রী পল্লবীই ওম প্রকাশকে নির্মমভাবে খুন করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, প্রাক্তন ডিজিপিকে কাঁচের ফাঁক বোতল ছুঁড়ে মারা হয়। তারপর ওই বোতল দিয়ে বার বার আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে এই খবর।
সূত্রের খবর, ওম প্রকাশকে খুনের পর তাঁর স্ত্রী অন্য এক পুলিশ অফিসারের স্ত্রীকে ফোন করে হত্যার খবর জানায়। সে নিজেই ওম প্রকাশকে খুন করেছে বলে ওই পুলিশ অফিসারের স্ত্রীর কাছে স্বীকার করে বলে খবর।
আরও পড়ুন: DGP Om Prakash Murdered: নিজের বাড়িতেই খুন প্রাক্তন ডিজিপি, সন্দেহের তীর পরিবারের দিকে
ওম প্রকাশের খুনের খবর পেতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এরপর পল্লবী এবং তার মেয়েকে আটক করা হয়। বর্তমানে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে রেখে পল্লবী এবং তার মেয়েকে ১২ ঘণ্টা ধরে একটানা জেরা শুরু করেছে।
প্রাক্তন ডিজিপির খুনের ঘটনায় তাঁর স্ত্রীকেই সন্দেহ করছে পুলিশ। ডিজিপির স্ত্রীর হাতে যদি খুন হয়ে থাকে, তাহলে নির্মমতার চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছে এই ঘটনা। ওম প্রকাশের দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ তাঁর শরীরের তলপেট এবং বুকে একাধিক ক্ষত চিহ্ন উদ্ধার করে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, খুনের আগে ওম প্রকাশের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী পল্লবীর বাদানুবাদ শুরু হয় সম্পত্তি নিয়ে। বিবাদের মাঝেই ওম প্রকাশের দিকে লঙ্কার গুডো় ছুঁড়ে, তাঁর হাত-পা বেধে হত্যা করা হয় বলে খবর।
ওম প্রকাশের হত্যায় তাঁর মেয়ের কোনও হাত রয়েছে কি না, সে বিষয়ে পুলিশ খোঁজ শুরু করেছে। প্রসঙ্গত বাবার মৃত্যুর পর পুলিশের দ্বারস্থ হন ওম প্রকাশের ছেলে। তিনিই অভিযোগ দায়ের করেন। প্রসঙ্গত বেঙ্গালুরু পুলিশের কাছে প্রাক্তন ডিজিপির খুনের খবর পৌঁছয় ভোর ৪টে নাগাদ। তারপরই পুলিশ তড়িঘড়ি ওম প্রকাশের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় এবং সেখান থেকে উদ্ধার করে মৃতদেহ।