বেঙ্গালুরু, ২৬ ডিসেম্বর: বছর শেষে সূর্যগ্রহণ (Solar Eclipse)। ভিন্ন ভিন্ন প্রভাব ঘটাতে পারে মানুষের জীবনে। এমনটাই বিশ্বাস করেন বহু মানুষ। তাই সুপ্রভাব জীবনে ঘটাতে এবং কুপ্রভাব থেকে বাঁচতে বিভিন্ন রকম পন্থা অবলম্বন করে থাকেন মানুষজন। খাবার (Food) ফেলে দেওয়া থেকে ঘরের বাইরে পা না দেওয়া কত কিছুই না পন্থা। কিন্তু সূর্যগ্রহণের সুফল গ্রহণ করতে এমন অদ্ভুত পন্থা অবলম্বন করতে বোধ হয় এর আগে দেখা যায়নি কাউকেই। যেমনটা ঘটিয়েছেন কর্ণাটকের অভিভাবক এক দম্পতি।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সন্তানদের স্বাভাবিক হওয়ার আশায় গলা পর্যন্ত ছাগলের (Goat) পায়খানা মেশানো মাটিতে পুঁতে রাখলেন তাঁরা। খবর পেয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা গিয়ে ওই শিশুদের উদ্ধার করেন। ভরতি করেন হাসপাতালে। কর্ণাটকের (Karnatak) কালবুর্গি এলাকার তাজ সুলতানপুর গ্রামে ঘটেছে এমন অমানবিক ঘটনা। প্রাচীনকাল থেকেই সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মনে অনেক ধরনের কুসংস্কার আছে। কোথায় গ্রহণের আগে রান্না করা খাবার ফেলে দেওয়ার নিয়ম তো কোথায় গ্রহণের সময় নিজের আশ্রয় থেকে বেরোন না অনেকেই। তবে একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে বিভিন্ন ধরনের চশমা পড়ে সূর্যগ্রহণ দেখার লোকও যে কম নেই তা এবারও প্রমাণ হয়েছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও গ্রহণকে কেন্দ্র করে মানুষের মনে গড়ে থাকা কুসংস্কার কিছুতেই কম হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার বছরের শেষ সূর্যগ্রহণে তারই প্রমাণ মিলল। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কয়েকটি শিশুকে গলা পর্যন্ত ছাগলের পায়খানা মেশানো মাটিতে পুঁতে রাখলেন তাদের বাবা-মা। তাঁদের বিশ্বাস ছিল, গ্রহণের সময় সন্তানদের মাটিতে পুঁতে রাখলে তাদের শারীরিক সমস্যা দূর হবে। অন্য শিশুদের মতোই স্বাভাবিক হয়ে উঠবে তারা। বিষয়টি জানতে পেরেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীয় জনবাদী মহিলা সংগঠনের প্রধান অশ্বিনী মান্দানকার। তারপর ওই শিশুদের মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করেন। আরও পড়ুন: Good Governance Index: পরিবেশ রক্ষায় প্রথম স্থান পেলেও জন নিরাপত্তায় র্যাঙ্কিংয়ের শেষে থাকা বিহারের আগে পশ্চিমবঙ্গ
Karnataka: Three specially-abled children were buried up till the neck at Tajsultanpur village in Kalaburagi, during #SolarEclipse, earlier today as parents believed that their children will be cured of deformities by this. pic.twitter.com/8JncLKk4Xl
— ANI (@ANI) December 26, 2019
এপ্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমি যখন ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছেছিলাম তখনও তিনটি শিশুকে (Baby) পুঁতে রাখা হয়েছিল। তার মধ্যে সঞ্জনা নামে চার বছরের একটি মেয়ের (Baby Girl) অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সে ঠিকভাবে বসতেও পারছিল না। পরে অচৈতন্য হয়ে পড়ে।’