Delhi Police Head Constable Rattan Lal’s Family Protests In Rajasthan: শহিদের মর্যাদা না দিলে শেষকৃত্য হবে না, পথে নামল দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল রতন লালের পরিবার
অবস্থান বিক্ষোভে রতন লালের পরিবার (Photo Credits: ANI)

সিকার, ২৬ ফেব্রুয়ারি: রাজধানীতে সংঘর্ষের জেরে সোমবার নিহত হয়েছেন দিল্লি পুলিশের প্রধান কনস্টেবল রতন লাল (Head Constable Rattan Lal)। বুধবার রতন লালের রাজ্যে রাজস্থানে বাধল নতুন গোলমাল। মৃত রতন লালকে শহিদের মর্যাদা দিতে হবে, এই দাবিতে তাঁর পরিজনও স্থানীয়রা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে। বুধবার সকাল থেকে এই কারণেই অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে রাজস্থানের সিকারের বিস্তীর্ণ এলাকা। বছর ৪২-এর রতন লাল উত্তর পূর্ব দিল্লিতে হামলা চলাকালীন তা আটকাতে গিয়ে নিহত হন। পাথরের আঘাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের তরফে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয়েছে, যতক্ষণ না শহিদের মর্যাদা রতন লাল পাচ্ছেন, ততক্ষণ তাঁর মৃতদেহের সৎকার হবে না।

দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল রতন লাল দিল্লির গোকলপুরি এলাকার এসিপির অফিসেই থাকতেন। সোমবার চাঁদবাগ এলাকায় যখন সিএএ সমর্থক ও বিরোধীর মধ্যে গন্ডগোল চরমে উঠেছে তখন ঘটনাস্থলে পৌঁছান তিনি। সংঘর্ষ থামাতে গিয়েই গুলি লাগে তাঁর। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রতন লালকে। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত কনস্টেবলের বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও রয়েছে তিন সন্তান। যাদের মধ্যে দুই মেয়ে সিধি(১২), কনক(১০) এবং বছর সাতেকের ছেলে রাম। রাজস্থানের সিকার এলাকার থিলাওয়ালি গ্রামে রতন লালের বাড়ি। যেহেতু সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাই রতন লালকে শহিদের মর্যাদা দিতে হবে। এই দাবিতে বুধবার সকাল থেকেই রাস্তা অবরোধ শুরু করেছে মৃত কনস্টেবলের আত্মীয় পরিজনরা। আরও পড়ুন-Acid Attack On Paramilitary Force: দিল্লির করওয়াল নগরে অ্যাসিড হামলার শিকার ২ আধাসেনা, ভিডিও ভাইরাল

মঙ্গলবারই দিল্লিতে রতন লাল যে বাড়িতে থাকতেন সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। সোমবার পূর্ব দিল্লিতে সিএএ সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হন রতন লাল, পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছে ওই কনস্টেবলের। পুলিশ জানিয়েছে, রতন লালের বাম দিকের কাঁধে গুলি লাগে, সেটিদুই কাঁধকে এফোঁড় ওফোঁড় করে ডান দিক থেকে বেরিয়ে যায়।