নতুন দিল্লি, ১৬ ডিসেম্বর: উন্নাও অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় (Unnao's abduction and rape case) মূল অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গারকে (BJP MLA Kuldeep Singh Sengar) সোমবার বিকেল তিনটে নাগাদ দিল্লির তিস হাজারি কোর্টে (Tis Hazari Court) তোলা হবে। এই মুহূর্তে ধর্ষণ মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছে কুলদীপ সিং সেঙ্গার। গত ৩ অক্টোবর সিবিআই এই ধর্ষণ মামলার চার্জশিট পেশ করেছে। সেখানে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতাকে ২০১৭ সালে অপহরণ করে টানা নয় দিন ধরে ধর্ষণ করা হয়। তিনজন অভিযুক্ত তারউপরে নারকীয় অত্যাচার চালিয়েছিল। ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে ২০১৮ সালের এপ্রিলে। যখন ওই বালিকা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাড়ির বাইরে নিজেকে জ্বালিয়ে দেওয়ার কথা বলেন, তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালের আগস্ট মাস থেকে পুলিশ তাঁর অভিযোগ নিচ্ছে না।
এরপর থেকেই ধর্ষণকাণ্ডের মামলা চলছে রায়বেরিলি আদালতে। গত জুলাই মাসে একটি গাড়িতে করে কাকিমা ও আইনজীবীর সঙ্গে নির্যাতিতা যখন রায়বেরেলি আদালতে যাচ্ছিলেন, তখন একটি ট্রাকের সঙ্গে তাঁদের গাড়িটির ধাক্কা লাগে। এই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন ওই নাবালিকা। আইনজীবী ও নির্যাতিতা গুরুতর আহত হলে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুর্ঘনায় নির্যাতিতার কাকিমার মৃত্যু হয়। লখনউয়ের হাসপাতালে নির্যাতিতার অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে দিল্লির এইমসে স্থানান্তর করা হয়। দীর্ঘ চিকিৎসার পর সুস্থ হন তিনি। সাংবাদিকদের জানান, কুলদীপ সেঙ্গারের লোকজন সুপরিকল্পিতভাবেই হামলা চালিয়েছে। আরও পড়ুন-Aparna Sen: নোট বাতিল থেকে এনআরসি- দেশটা প্রতিনিয়ত রক্তাক্ত হচ্ছে, টুইটারে গর্জে উঠলেন অপর্ণা সেন
Delhi's Tis Hazari Court will pronounce the verdict at 3 pm today, on former BJP MLA Kuldeep Singh Sengar, an accused in Unnao's abduction and rape case. (file pic) pic.twitter.com/i1Lq670jcm
— ANI (@ANI) December 16, 2019
উল্লেখ্য, ২০১৭-র চার জুন ওই নাবালিকাকে সেঙ্গারের বাড়িতে নিয়ে যায় জনৈক শাস্ত্রী সিং এবং সেঙ্গার ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। এফআইআর অনুযায়ী নির্যাতিতা প্রতিবাদ করলে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। পুরো পরিবারকে উড়িয়ে দিয়ে তাঁকেও পুঁতে দেওয়া হবে। অভিযোগ, যখন তাঁকে ধর্ষণ করা হচ্ছিল, তখন ওই বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল শাস্ত্রী। ঘটনার সাত দিন পরে ওই নাবালিকাকে একটি এসইউভি গাড়িতে করে অপহরণ করে নিয়ে যায় তিন ব্যক্তি। সেখানে তাঁকে পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে পান করিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। নারকীয় অত্যাচারের পর বিভিন্ন ঠিকানায় ঘুরিয়ে নির্যাতিতাকে বিক্রির চেষ্টা করছিল সেঙ্গারের লোকজন। এরপর নির্যাতিতার বাবাকে প্রথমে খুন করা হয়। পরে কাকে মিথ্যে কেসে ফাঁসিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারপর নির্যাতিতার পুরো পরিবারকে খুন করার পরিকল্পনা হলেও তাতে সফল হয়নি সেঙ্গার ও তার লোকজন।