সাংবাদিক সম্মেলনে দিল্লি পুলিশ(Photo Credits: ANI)

নতুন দিল্লি, ১০ জানুয়ারি: দিল্লি পুলিশ এবার ঐশী ঘোষকেই (Aishe Ghosh) অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করল। জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের প্রতি সহানুভূতি যখন উপচে পড়ছে তখন শুক্রবার বিকেলে দিল্লি পুলিশ চাঞ্চল্যকর দাবি জানাল। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে আক্রান্ত JNU ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষের দিকেই আঙুল তুলল দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের SIT-র প্রধান জয় তিরকে এবং জনসংযোগ আধিকারিক এম এস রণধাওয়া জানান, রবিবার JNU-তে একাধিক হামলা হয়েছিল। ঐশীদের উপর সন্ধ্যার হামলার আগে দুপুরেও হামলা চলেছিল। সেই হামলাতেই ঐশী-সহ ৯ জন অভিযুক্ত। পুলিশের দাবি, জেএনইউ-র পেরিয়ার হস্টেলে হামলার চালানোর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ।” তিনি জানান, তার পর সন্ধ্যায় সবরমতী হস্টেলে হামলা চলে।

এদিকে পুলিশ যখন সাংবাদিক বৈঠক করছিল তখন শাস্ত্রী ভবনে জেএনইউ-র ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কর্তারা। প্রসঙ্গত, জেএনইউ-র বাম ছাত্রছাত্রীরা ধারাবাহিক ভাবেই উপাচার্যের অপসারণের দাবি জানিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সেই দাবি মানতে রাজি হয়নি। তবে মন্ত্রকের তরফে ছাত্রছাত্রীদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের নিরাপত্তা ও পঠনপাঠনের পরিবেশ যাতে অক্ষুন্ন থাকে তা সুনিশ্চিত করবে সরকার। তা ছাড়া উইন্টার সেমিস্টারের জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করারও নির্দেশ দিয়েছে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। আরও পড়ুন-Gauri Lankesh Murder Case: সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ হত্যায় নয়া মোড়, ধানবাদ থেকে গ্রেপ্তার ১

এদিকে সাংবাদিক সম্মেলনে যুগ্ম কমিশনার তিরকে বলেন, হিংসার ঘটনায় ৯ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে যেমন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা রয়েছেন, তেমনই এডুকেশন কাউন্সিলরও রয়েছে।  হতে পারে সবরমতী হাসপাতালে বহিরাগতরা হামলা চালিয়েছিল। তবে এও ঠিক যে জেএনইউ-তে বহিরাগতদের ঢুকে পড়া সহজ নয়। কারণ, রেজিস্টারে নাম লিখতে হয়। সঙ্গে কোনও গেস্ট থাকলে প্লাস দিয়ে তাঁদের সংখ্যা লিখতে হয়। তাঁর কথায়, তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশের একটু সমস্যা হচ্ছে ঠিকই। কারণ, সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াই ফাই বেসড সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল। কিন্তু ৩ ও ৪ তারিখ ছাত্র বিক্ষোভের ঘটনায় সেগুলি নষ্ট করা হয়। ফলে প্রত্যক্ষদর্শী ও ভাইরাল ভিডিও-র সাহায্যে দোষীদের চিহ্নিত করতে হচ্ছে।