গত ফেব্রুয়ারিতে উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে দিল্লি পুলিশ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খালিদকে (Umar Khalid) গ্রেপ্তার করল। রবিবার বেশি রাতেই ওই ছাত্রনেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকালই জানা গিয়েছিল যে, দিল্লির হিংসা মামলার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরির নাম যুক্ত করা হয়েছে। শুধু সীতারাম নন। সেই তালিকায় রয়েছেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক জয়তী ঘোষ, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অপূর্বানন্দ ও স্বরাজ অভিযানের নেতা যোগেন্দ্র যাদবের নামও। দিল্লির ওই সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, ধারাবাহিক হিংসার ঘটনায় উমর খালিদ ছিলেন অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী।
Activist and former JNU student Umar Khalid arrested by special cell in connection with his alleged role in the violence of Northeast Delhi: Delhi Police (File pic) pic.twitter.com/LIwLZ8ypjg
— ANI (@ANI) September 13, 2020
দিল্লির হিংসার ঘটনায় রাজধানীর পুলিশের তদন্তের গতিপ্রকৃতি দেখে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে সিপিএম। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই দিল্লি পুলিশকে কাজে লাগানো হয়েছে বলে দাবি করেছে সিপিআইএম। বাম নেতৃত্বের বক্তব্য, “ফ্যাসিবাদের নির্লজ্জ নগ্নরূপের বহিঃপ্রকাশ।” যদিও এই পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি পুলিশের দাবি, হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ধৃত বেশ কয়েকজনের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে সীতারামদের নাম। সেই কারণেই সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিটে তাঁদের নাম দেওয়া হয়েছে। এবার তদন্ত শুরু হবে। রাতে দেখা গেল কানহাইয়া কুমারদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু উমরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কানহাইয়া যখন জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি তখন তিন জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার মামলা রুজু হয়েছিল। সে সময় কারাবাস হয় কানহাইয়া, উমর, অনির্বাণ ভট্টাচার্যদের। এই প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, হিংসার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আম আদমি পার্টির কাউন্সিলর তাহির হুসেনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ ছিল উমর খালিদের। দু’জনে মিলে শলাপরামর্শ করেছিল, হিংসাকে আরও বাড়াতে ভূমিকা নিয়েছিল। আরও পড়ুন-Kangana Ranaut: ভারাক্রান্ত হৃদয়ে শহর ছাড়ছেন, মুম্বইকে ফের ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর’ বললেন কঙ্গনা
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে উত্তর-পূর্ব দিল্লির গোষ্ঠী সংঘর্ষে ৫৩ জনের মৃত্যু হয় এবং ৫৮১ জন আহত হন। মৃত ও আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯৭ জনের শরীরে বন্দুকের গুলির ক্ষতও ছিল। দিল্লি পুলিশের দাখিল করা এই মামলার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে অভিযুক্তদের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ, উমর খালিদ-সহ বেশ কিছু নেতার নাম। রক্তক্ষয়ী হিংসার ঘটনায় উমর খালিদ অন্যতম চক্রান্তকারী বলে এর আগেই দাবি করেছিল পুলিশের বিশেষ সেল।