Sahil Sahil Gehlot, Nikki Yadav (Photo Credit: Instagram)

দিল্লি, ১৬ ফেব্রুয়ারি: প্রকাশ্যে দিনের আলোয় প্রেমিকা নিকি যাদবকে (Nikki Yadav) sahilখুন করে সাহিল গেহলট ( Sahil Gehlot )।  ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে নটার মধ্যে ৪ বছরের লিভ ইন পার্টনার নিকি যাদবকে খুন করে সাহিল গেহলট। নিকিকে খুনের পর দিল্লির একাধিক জায়গায় গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ায় সাহিল।  ওই সময় নিকির দেহ সাহিলের গাড়ির সামনের আসনে সিট বেল্টের সঙ্গেই বাধা ছিল।  পুলিশের তরফে এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে।

৯ ফেব্রুয়ারি সাহিল গেহলটকে ফোন করেন নিকি যাদব।  তাঁকে লুকিয়ে সাহিল কেন পরিবারের পছন্দের পাত্রীকে বিয় করল, সে বিষয়ে ফোনেই বাকবিতণ্ডা শুরু হয় তাঁদের।

৯ ফেব্রুয়ারি মাঝ রাতে সাহিল নিকির ফ্ল্যাটে এসে হাজির হয়। এরপর সাহিলের তুতো ভাইয়ের গাড়িতে দুজনে বেরিয়ে পড়েন।  মাঝ রাত থেকেই দিল্লির একাধিক জায়গায় ঘুরে বেড়াতে শুরু করে সাহিলের গাড়ি।  ঘটনার পর পুলিশ সাহিলের ভাইয়ের গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে।

আরও পড়ুন: Delhi Murder: পরিবারের পছন্দের পাত্রীর সঙ্গে বাগদান সেরেই লিভ ইন পার্টনার নিকিকে খুন করে সাহিল গেহলট

নিজাম্মুদ্দিন, আনন্দ বিহার-সহ একাধিক জায়গায় নিকিকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে শুরু করে সাহিল গেহলট।

১০ ফেব্রুয়ারি সকালে কীভাবে দিল্লি থেকে বেরিয়ে যাওয়া যায়, সেই পরিকল্পনা নিকি যাদব এবং সাহিল গেহলট শুরু করেন।  এসবের মধ্যেই সাহিলের বাড়ি থেকে তাকে ফোন করা শুরু হয়।  যা দেখে ফের নিকি এবং সাহিলের মধ্যে শুরু হয় বিবাদ।  বিবাদ বাড়লে, গাড়ির মধ্যেই চার্জারের তার জড়িয়ে নিকি যাদবকে খুন করে সাহিল গেহলট।

এরপর নিকির মৃতদেহ গাড়ির ডিকিয়ে ঢুকিয়ে নিজেদের ধাবায় নিয়ে যায় সাহিল।

এরপর পরিবারের কথা মত সাহিল গেহলট বাড়ির পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করতে গ্রামে যায়।  বিয়ের উৎসব কাটিয়ে নতুন বউকে নিয়ে বাড়িতে ফেরে সাহিল।  ওই রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে, সাহিল ফের ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে।

ঘর থেকে বেরিয়ে সাহিল ধাবায় য়ায় এবং নিকির মৃতেদহ ফ্রিজে ভরে রাখে।  সেই সঙ্গে নিকি যাদবের মোবাইল সুইচ অফ কর, সেখান থেকে সমস্ত কল, চ্যাট মুছে ফেলে সাহিল।