প্রতীকী ছবি (Photo Credits: Pixabay)

নয়াদিল্লি: কিশোরী-কিশোরীদের সত্যিকারের ভালোবাসা (True Love) পুলিশি হস্তক্ষেপের (Police Action) মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ (Controlled) করা যায় না। সম্প্রতি একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে এমনই পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। এপ্রসঙ্গে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি স্বর্ণকান্তা শর্মা জানিয়েছেন যে দু-জনের সত্যিকারের ভালোবাসা, যার মধ্যে উভয়েই বা একজন নাবালক কিংবা নাবালিকা হতেই পারে। তা বলে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ ও আইনের কঠোরতার কারণ দেখিয়ে তাদের সেই ভালোবাসাকে পুলিশের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। আরও পড়ুন: India-UAE Friendship: ভারত ও আরব আমিরশাহীর সম্পর্ক ফুটিয়ে তুলতে লাইট শো, গান্ধীনগরের ভিডিয়ো

বিচারপতি আরও বলেন, যে কিশোরী-কিশোরীরা বিয়ের পরে সুখে সংসার করছে বা পরিবার বৃদ্ধি করছে তাদের দেশের আইন অনুযায়ী পুলিশি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে দ্বিধার মধ্যে পড়েছে আদালত। যখন বিচারের দাঁড়িপাল্লাকে ওজন করতে হয়, সেগুলি সর্বদা গাণিতিক সূক্ষ্মতা বা গাণিতিক সূত্রের ভিত্তিতে হয় না। তবে অনেক সময় পাল্লার এক পাশ আইন বহন করলে পাল্লার অন্য দিকটি সারা জীবন বহন করতে পারে সুখ এবং বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ, তাদের পিতামাতা এবং তাদের পিতামাতার পিতামাতা খুশি।

যেভাবে কোনও অপরাধ ছাড়াই এই ধরনের বিশুদ্ধ সুখকে প্রতিফলিত করে এবং চিত্রিত করে তা অবশ্যই আইন বহনকারী আইনের সমান হবে কারণ আইনের প্রয়োগ আইনের শাসন বজায় রাখার জন্য।

সম্প্রতি জনৈক আরিফ খানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা বাতিল করার সময় বিচারপতি শর্মা এই পর্যবেক্ষণ করেছেন যে অভিযুক্ত একজন নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল এবং একই ধর্মের অনুসারী হওয়ায় মুসলিম রীতি ও অনুষ্ঠান অনুসারে বিয়ে করেছিল। পরে মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে যখন কিশোরীটিকে উদ্ধার করা তখন সে পাঁচ মাসের গর্ভবতী ছিল। ওই সন্তান তাদের ভালোবাসার চিহ্ন বলে দাবি করে গর্ভপাত করতে অস্বীকার করে মেয়েটি। পরে ছেলেটি জেল থেকে ছাড়া পর ফের তারা সুখে সংসার করতে শুরু করে। যার জেরে কিছুদিন পরে আরও একটি মেয়ে হয় তাদের। আরও পড়ুন: Shiv Sena MLAs' Disqualification Case: 'শিন্ডে গোষ্ঠীই আসল শিব সেনা', ভিডিয়োতে শুনুন আরও কী বললেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষ