দিল্লি, ১৩ নভেম্বর: গত সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে যে বিস্ফোরণ হয়, তার জেরে ৮-১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। লালকেল্লার কাছে ওই বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে একাধিক তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, লালাকেল্লার কাছে গত ১০ নভেম্বর যে বিস্ফোরণ হয়, তাতে জড়িত জঙ্গিরা ৬ ডিসেম্বরকে বেছে নিয়েছিল। ৬ ডিসেম্বর দিল্লি এবং এনসিআর এলাকায় ৬টি বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রে এমন খবর উঠে আসতে শুরু করেছে।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যার বাবড়ি মসজিদ ভাঙার দিন। তাই ওই ৬ ডিসেম্বরকেই বেছে নেয় পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ৬ ডিসেম্বর দিল্লি-এনসিআরের ৬টি জায়গায় পরপর বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করে জঙ্গিরা। ১০ নভেম্বর লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের পর গোয়েন্দা সূত্রে এমন খবরই উঠে আসতে শুরু করেছে।
ফরিদাবাদে বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধারের পর যাদের পাকড়াও করা হয়েছে, তাদের জেরায় এমন তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে। দিল্লি-এনসিআর এলাকায় জঙ্গিদের সিরিয়াল ব্লাস্ট অর্থাৎ ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল বলে জেরায় উঠে এসেছে। বাবড়ি মসজিদ ভাঙার দিনেই দিল্লিতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করে ফেলে জঙ্গিরা। জেরায় এমনই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে।
জেরায় আরও উঠে এসেছে, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা প্রথমে চলতি বছরের অগাস্ট মাসকে বেছে নেয়। পরে তারিখ বদলে ডিসেম্বরে চলে যায়। আর ডিসেম্বরেই ভারতের রাজধানী শহর এবং তার সংলগ্ন এলাকায় ধারাবাহিকভাবে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করে নেয় জঙ্গিরা।
গত সোমবার দিল্লিতে বিস্ফোরণের পর ওই ঘটনার সঙ্গে জইশ-ই-মহম্মদের যোগ রয়েছে বলে সামনে আসে। জইশ জঙ্গিদের যে মহিলা সন্ত্রাসবাদীরা রয়েছে, তারাই দিল্লির বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা যায়।
প্রসঙ্গত অপারেশন সিঁদূরের আঘাতে ধ্বংস হয়ে যায় জইশের বাওয়ালপুরের জঙ্গি আস্তানা। আর সেখানেই নিহত হয় জইশ প্রধান মাসুদ আজাহারের বোন সাদিয়া আজাহারের স্বামী ইউসুফ। স্বামীর মৃত্যুর পর জইশের মহিলা শাখার দায়িত্ব যায় সাদিয়া আজাহারের হাতে। এবার সেই সাদিয়া আজাহার এবং তার জঙ্গি সংগঠনই দিল্লি বিস্ফোরণে জড়িত বলে গোয়েন্দাদের তদন্ত উঠে আসে।