নতুন দিল্লি, ১৪ মে: দিল্লির (Delhi) মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের (Mundka Metro Station) কাছে বহুতলে আগুন (Fire) লাগার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩০। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, এখনও নিখোঁজ রয়েছেন কমপক্ষে ২৯ জন। তাঁদের মধ্যে ২৪ জন মহিলা, ৫ জন পুরুষ। আজ সকালে পুড়ে যাওয়া বহুতলের দু'তলা থেকে কয়েকটি দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের (Delhi Fire Service) প্রধান অতুল গর্গ শনিবার আইএএনএসকে বলেছেন, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, যে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলি এখনও শনাক্ত করা যায়নি। এই উদ্দেশ্যে ফরেন্সিক টিমের সাহায্য নেওয়া হবে। কারণ, অধিকাংশ মৃতদেহ এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে তা পুরুষ না মহিলার দেহ, তা নিশ্চিত করাও কঠিন হয়ে গিয়েছে। পুড়ে যাওয়া বহুতলের সামনে ভিড় করেছেন নিখোঁজদের পরিজনরা। দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (আউটার) সমীর শর্মা বলেন, "উদ্ধার অভিযান চলছে। আরও মৃতদেহ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে এনডিআরএফ। এখনও পর্যন্ত ২৭টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ২৫টি শনাক্ত করা যায়নি, ২ জনকে চিহ্নিত করা হবে। ফরেন্সিক দল ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করবে। ২৭-২৮ জন নিখোঁজ থাকার অভিযোগ এসেছে।" আরও পড়ুন: 3 Cops Shot Dead By Blackbuck Poachers: কৃষ্ণসার হরিণ শিকারীদের গুলিতে নিহত মধ্যপ্রদেশের ৩ পুলিশ কর্মী
শুক্রবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের ৫৪৪ নম্বর পিলারের কাছে ওই বহুতলে আগুন লাগে। চারতলা বাড়িটিকে আগুন দ্রুত গ্রাস করে নেয়। খবর পেয়ে আগুন নেভাতে আসে দমকলের ৪০টি ইঞ্জিন। তার মধ্যেই চলতে থাকে উদ্ধারকাজ। ৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়। অনেকেই আতঙ্কে উপরের তলার জানালা দিয়ে ঝাঁপ দেন। তাঁদের দ্রুত সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে, বহুতল থেকে প্রথমে ৩ জনের, পরে আরও ২৪ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বহুতলে একটি কারখানা ছিল। যেখানে সিসিটিভি ও রাউটার তৈরি করা হত। ঠিক কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও বোঝা যায়নি। বাড়িটির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ভস্মীভূত বহুতলটির দমকল বিভাগের ছাড়পত্র ছিল না বলে জানিয়েছে দমকল বিভাগ। সমীর শর্মা বলেছেন যে ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪, ৩০৮, ১২০ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কারখানার মালিক হরিশ গোয়েল এবং বরুণ গোয়েলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিল্ডিংয়ের মালিক মণীশ লাকড়া পলাতক।