(Photo: Wikipedia, Wikimedia Commons)

নতুন দিল্লি, ১৯ ডিসেম্বর: দমন ও দিউ (Daman and Diu) এবং দাদরা ও নগর হাভেলিকে (Dadra and Nagar Haveli) একই ছাতার তলায় আনছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Home Ministry) ঘোষণা করেছে, এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে নিয়ে একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (Union Territory) গঠন করা হবে। আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে পথ চলা শুরু করবে নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। সদ্য সমাপ্ত সংসদের অধিবেশনে লোকসভা ও রাজ্যসভাতে পাস হয়েছে এই সংক্রান্ত বিল। নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম হবে দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ। আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব গোবিন্দ মোহন (Govind Mohan) এক বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা করেছেন যে "দাদ্রা এবং নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ (মার্জার অফ ইউনিয়ন টেরিটোরি) আইন অনুযায়ী ক্ষমতা প্রয়োগে করে কেন্দ্রীয় সরকার ২৬ জানুয়ারি এই নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পথ চলা শুরু করবে।"

গুজরাতের ( Gujarat) নিকটবর্তী পশ্চিম উপকূল বরাবর অবস্থিত দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংযুক্তিকরণ উন্নত প্রশাসন এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের লক্ষ্যেই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি। এখনও অবধি, উভয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির পৃথক বাজেট এবং আলাদা সচিবালয় রয়েছে। যদিও একে অপরের থেকে দূরত্ব মাত্র ৩৫ কিমি। দাদরা ও নগর হাভেলিতে মাত্র একটি জেলা আছে। অন্যদিকে দমন ও দিউয়ের দুটি জেলা রয়েছে। আরও পড়ুন: Central Government Import Onion From Turkey: ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই ১২,৫০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ পেতে চলেছে দেশ, তুরস্কের সঙ্গে চুক্তি ভারতের

উভয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলই দীর্ঘকাল পর্তুগিজ শাসনের অধীনে ছিল এবং ১৯৬১ সালের ডিসেম্বর মাসে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৬১-১৯৮৭ সাল পর্যন্ত দমন ও দিউ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গোয়ার অধীনে ছিল। ১০৮৭ সালে যখন গোয়া রাজ্য হয়। তখন দমন ও দিউকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়েছিল। ১৭৮৩ সালের জুন পর্যন্ত দাদরা এবং নগর হাভেলি পর্তুগিজদের দখলে ছিল। ১৯৫৪ সালের ২ অগাস্ট দাদরা ও নগর হাভেলির বাসিন্দারা পর্তুগিজ শাসন থেকে মুক্তি পেয়েছিল। ১৯৫৪-১৯৬১ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলটি একটি নাগরিকের কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত ছিল। ১৯৬১ সালে এটি ভারতে যোগ দেয় এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয়ে পথ চলা শুরু করে। নতুন আইন অনুসারে, দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ লোকসভায় দুটি আসন পাবে। আইনি কাজকর্ম থাকবে বম্বে হাইকোর্টের আওতায়।