মুম্বই, ১৬ মে: গত বছর এমন সময় যেভাবে পশ্চিমবাঙলার একাংশকে যেমন ছারখার করে দিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় 'আমফান'। ঠিক তেমনভাবেই যেন সাইক্লোন' তকতে' শক্তি দেখাতে শুরু করেছে। আরও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিবর্তিত হয়ে আগামিকাল, সোমবার সকালে গুজরাতের পোরবন্দরে উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে 'তকতে'। তার আগে আজ কর্ণাটক থেকে কেরল, গোয়ায় তাণ্ডব চালাচ্ছে সাইক্লোন তকতে। গোয়ার উপকূল অঞ্চলে আছড়ে পড়েছে তকতে। রবিবার বেলা বাড়তেই গোয়ায় ঝড়-বৃষ্টির ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছ। রাস্তায় উপড়ে পড়ে রয়েছে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি। আরও পড়ুন: COVID19 Lockdown: বাংলায় চলছে কার্যত লকডাউন, দিল্লির পর এবার লকডাউন বাড়ল হরিয়ানাও
Cyclone Tauktae hit coastal parts of Goa. Visuals from Panaji pic.twitter.com/qPGI0CnUjS
— ANI (@ANI) May 16, 2021
গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত জানিয়েছেন, ৫০০টিরও বেশি গাছ পড়ে গিয়েছে। ১০০টি বড় ঘর ও প্রায় ১০০টি ছোট ঘর ঝড়ের প্রকোপে ভেঙে পড়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক জায়গাতেই বিছিন্ন। গাছ পড়ে থাকায় রাস্তা বন্ধ। অনেক জায়গাতেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। গোয়ায় দু জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। গোয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের কোভি হাসপাতালগুলিতে যাতে কাজ বন্ধ না থাকে সে ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে। ঝড়ের শক্তি অনুমান করার জন্য আগামী ১২ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।
Two deaths have been reported in Goa. More than 500 trees have fallen. Around 100 major houses and 100 minor houses were damaged. Roads are blocked. The power supply is disrupted: Goa Chief Minister Pramod Sawant #CycloneTauktae pic.twitter.com/VNZzA8aXuW
— ANI (@ANI) May 16, 2021
তকতে-র প্রভাবে মুম্বইয়ে ভারী বৃষ্টি হতে চলেছে। মুম্বই, থানে, পালঙরে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে IMD। যে কারণে আগামিকাল, সোমবার মুম্বইয়ে টিকাকরণ কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।
তকতে-র তাণ্ডবে গতকাল থেকে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন অংশে দেখা যাচ্ছে। তকতের প্রভাবে কর্নাটকে ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের ৭৩টি বাড়িও ভেঙে পড়েছে বলেও জানিয়েছে প্রশাসন। যে ৬টি জেলায় ঝড়ের দাপট সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে তিনটি উপকূলবর্তী ও তিনটি পশ্চিমঘাট পর্বত সংলগ্ন। রবিবার কেরলেও মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে কেরলে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এর্নাকুলাম ও কোঝিকোড়ে জেলায়।