প্রতীকী ছবি (Photo Credits: IANS)

নতুন দিল্লি, ১৭ নভেম্বর: করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অসামান্য সাফল্য পেল মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা মডের্না (Moderna COVID-19 Vaccine)। মানব শরীরে এই প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রাথমিক বিশ্লেষণে ৯৫ শতাংশ কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে। এরপরেই মডের্নার সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা সেরেছে ভারত। শুধু মডের্না নয়, সেরামের মালিকের সঙ্গেও হয়েছে বার্তালাপ। ভারত বায়োটেক ও ফাইজারের মতো সংস্থা রয়েছে সেই তালিকায়। এদিকে মডের্নার ভ্যাকসিনটি তৈরিতে যুক্ত ছিল ‘ফাউচি’স ইনস্টিটিউট’ও। ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপরে পরীক্ষা হয়। অর্ধেককে পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনটির দু’টি ডোজ দেওয়া হয়েছিল। বাকিদের অন্য কিছু (প্লাসিবো)। এর পর পর্যবেক্ষণে রাখা হয় অংশগ্রহণকারীদের। দেখা যায়, যাঁরা করোনা-আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের ৯৫ শতাংশ প্লাসিবো-গ্রুপে ছিলেন, অর্থাৎ ভ্যাকসিন পড়েনি তাঁদের।

১১ জনের অবস্থা গুরুতর হয়। তাঁরা প্রত্যেকেই প্লাসিবো-গ্রুপের। এমনকী নিশ্চিত ভাবে করোনা-আক্রান্ত প্রত্যেকেও প্লাসিবো-দলে ছিলেন। এ থেকে গবেষণায় যুক্ত বিশেষজ্ঞদের দাবি, মডের্নার প্রতিষেধকটি করোনা-রোধে কাজ দিচ্ছে। তাই যাঁদের সেটি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের কোভিড-১৯ হয়নি। এদিকে মডের্নার ভ্যাকসিনের কিছু প্লাস পয়েন্টও রয়েছে। সাধারণ রেফ্রিজারেটরেই একে মজুত করা যায়। ফলে সাধারণ কোল্ড স্টোরেজেই একে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো যাবে। ভ্যাকসিন সরবরাহ প্রক্রিয়া অনেকটাই সহজ হবে। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের পক্ষে যা সত্যিই লাভজনক। আরও পড়ুন-COVID Vaccine: আমেরিকার মডার্না কোভিড ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়ালে ৯৪.৫% সফলতা, আশা দেখছে গোটা বিশ্ব

মডের্নার দাবি, মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ৬ মাস পর্যন্ত অক্ষত ভাবে মজুত করা যাবে ভ্যাকসিনটি। সাধারণ বাড়ির রেফ্রিজারেটরে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ৩০ দিন পর্যন্ত রাখা যাবে। ঘরের তাপমাত্রায় ১২ ঘণ্টা ঠিক থাকবে। সে দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে ফাইজার। তাদের তৈরি ভ্যাকসিন মজুত করতে আল্ট্রা কোল্ড-স্টোরেজ প্রয়োজন। মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এটি ছ’মাস মজুত রাখা যাবে। সাধারণ রেফ্রিজারেটরে মাত্র ৫ দিন পর্যন্ত ঠিক থাকবে। অন্যদিকে মডের্নার প্রতিষেধকটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রিপোর্ট তিন জন বিশেষজ্ঞকে দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে এক জন হলেন ফাউচি। তিনি বলেন, ‘‘আমি নিজেকে বাস্তববাদী বলেই মনে করি। কিন্তু একই সঙ্গে আশাবাদীও, তবে সতর্কতার সঙ্গে। আমার মনে হচ্ছে, ওরা যতটা বলছে, তার থেকে কম... তবে প্রতিষেধকটি ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকরী হবে।’’