Dilip Ghosh Over Joint Entrance Examination: বাংলায় পড়ে জয়েন্ট দেয় ক'জন? ফের বিতর্কিত মন্তব্য দিলীপ ঘোষের
দিলীপ ঘোষ। (Photo Credits:Facebook)

কলকাতা, ১১ নভেম্বর: বাংলায় পড়ে জয়েন্ট দেয় ক'জন? ফের বিতর্কিত (Controversey) মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেইন) পরীক্ষার (Joint Entrance Examination) প্রশ্নপত্রে আঞ্চলিক ভাষা হিসেবে শুধু গুজরাতি (Gujrati) ভাষা কেন? এই ইস্যুতেই কেন্দ্র সরকারের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। যা নিয়ে তাঁকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। নির্দেশিকা ঘিরে তৈরি হওয়া প্রবল বিতর্কের মধ্যেই তৃণমূল নেত্রী (TMC Leader) হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, 'সমাধান নাহলে ব্যাপক প্রতিবাদ হবে।' সেইমতই আজ সোমবার মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে প্রতিবাদ সভা করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি (Abhishek Banerjee)। সেখানে বাংলার বিজেপি নেতাদের নাম করেই অভিষেককে বলতে শোনা যায়, 'এরা বাংলা বোঝে না, বাংলা পড়ে না, বাংলা লেখে না। এরা কখনই বাংলার ভালো চায় না। তাই জয়েন্টে গুজরাতি নিয়ে এদের মাথাব্যথা নেই। বাংলার জন্যে দাবি উঠলেই অসুবিধা ওদের!'

এই সময় পত্রিকার খবর অনুযায়ী,  এরপরই অভিষেক সহ গোটা তৃণমূলকে (Trinamool) বিঁধে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, 'বাংলা থেকে জয়েন্ট পরীক্ষা দেয় কজন, সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন? বাংলার সরকারি স্কুলে পড়ে জয়েন্ট দেওয়া যায় নাকি! গুজরাতে ৬০হাজার ছাত্রছাত্রী জয়েন্ট দেয়। এখানে কজন?' এই বক্তব্যই ফের বিতর্কে জড়িয়েছে বিজেপি নেতার নাম। সেইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, 'যখন আবেদন করতে বলা হয়েছিল ভাষার জন্যে, তখন করেননি কেন? এখন বাংলা নিয়ে রাজনীতি করছেন!' আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: বাংলায় বিজেপি এবার বিধানসভায় 200টি আসন পাবে জানালেন দিলীপ ঘোষ, ৩ থেকে আসন 'ডবল সেঞ্চুরি' হওয়ার আশা

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) এই প্রসঙ্গে বলেন, 'আমি গুজরাতি ভাষাকে ভালোবাসি। তবে অন্য আঞ্চলিক ভাষাগুলিকে কেন উপেক্ষা করা হচ্ছে? ওদের উপর এই অন্যায় কেন? গুজরাতি থাকলে, বাংলা সহ সব আঞ্চলিক ভাষাকেই রাখতে হবে।' এরপরই কেন্দ্রের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, 'সঠিকভাবে এই বিষয়ের সমাধান না হলে, ব্যাপক প্রতিবাদ হবে। কারণ, এই সিদ্ধান্তে আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলা মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে।'