Sukhwinder Singh Sukhu. (Photo Credits: Twitter)

সিমলা, ১১ ডিসেম্বর: একের পর এক হার। একের পর এক নির্বাচনে পরাস্ত হয়ে মহালজ্জা। গত কয়েক বছর ধরেই কংগ্রেস মানেই শুধু হার আর হার। ব্যতিক্রম হয়ে দাঁড়াল হিমাচলপ্রদেশ। বিজেপি-কে পরাস্ত করে হিমাচলে উড়ল কংগ্রেস পতাকা। সদ্য সমাপ্ত হিমাচল প্রদেশে ৬৮টি-র মধ্যে ৪০টি বিধানসভা আসন জেতে কংগ্রেস (Congress)। সেখানে বিজেপি (BJP) পায় ২৫টি, নির্দল প্রার্থীরা জেতেন ৩টি-তে। অনেক হারের মাঝে হিমাচলের জয় নিয়ে উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস শিবির। অনেক দিন পর ভোটে জয়ের পর একসঙ্গে খোলামনে হাসতে দেখা গেল কংগ্রেস নেতৃত্বকে।

বছর আটেক আগেও যে দল দেশের মসনদে ছিল তারা এখন ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যেই অস্তিত্বহীন। পঞ্জাবে ক্ষমতা হারা হওয়ার পর কংগ্রেস কর্মীদের মনোবল পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছিল, সেটা হিমাচলের জয়ে ফিরল। আরও পড়ুন-গাছ থেকে না বলে আম পাড়ায় যুবতীদের তরোয়ালের আঘাত, কেরলে ধৃত ৩

সুখুর শপথ

এবার হিমাচলের জয় থেকেই ঘরে দাঁড়াতে মরিয়া হাত শিবির। রাহুল গান্ধীর ভারত-জড়ো যাত্রা, গান্ধী পরিবারের বাইরে নতুন সভাপতি হওয়া-কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানোর মঞ্চ প্রস্তুত।

দেখুন টুইট

এই আবহেই রবিবার হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুখবিন্দার সিং সুখু। সিমলায় সুখুর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জন খাড়গে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, সাংসদ রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। আটান্ন বছর বয়সী নাদাউনের বিধায়ক সুখবিন্দর সিং সুকু-র নাম হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। হিমাচলের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মুকেশ অগ্নিহোত্রী। রাজস্থান, ছত্তিশগড়ের পর দেশের তৃতীয় রাজ্য়ে হিসেবে একক ক্ষমতায় হিমাচলে ক্ষমতায় এল কংগ্রেস। বিহার, ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেসের সমর্থনে ক্ষমতায় আছেন যথাক্রমে নীতীশ কুমার ও হেমন্ত সোরেন। ২০১৯ লোকসভায় হারের পর হিমাচলে জয়টাই কংগ্রেসের কাছে সবচেয়ে বড়।

তবে হিমাচলে জিতলেও একই সঙ্গে হওয়া গুজরাট নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী ঝড়ে উড়ে যায় কংগ্রেস। এর আগে উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, উত্তরাখণ্ড, কেরল ও পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছিল হাত শিবিরের। আগামী বছর ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ডের পরই বিধানসভা নির্বাচন হবে কর্ণাটকে। কর্ণাটকে ক্ষমতাসীন বিজেপি একেবারে কোণঠাসা, জেতার বড় সুযোগ কংগ্রেসের সামনে। তারপর সিংহাসন বাঁচানোর লড়াই ছত্তিশগড় ও রাজস্থানে। বছর দুয়েক আগে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বিদ্রোহে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা হাতছাড়া হয়েছিল কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশেও আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন।