নতুন দিল্লি, ৩ মার্চ: বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলে সেই বৈঠক। তাদের মধ্যে দিল্লি হিংসা (Delhi Violence) এবং করোনাভাইরাস (Coronavirus) নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান কেজরিওয়াল। বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান,"উত্তরপূর্ব দিল্লি হিংসার ঘটনায় যারা জড়িত ছিল তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, করোনাভাইরাসে দিল্লিতে একজন আক্রান্ত। ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তা আটকাতে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেই আলোচনাও হয়।
এই হিংসা রোধে কেন্দ্রের আওতাধীন দিল্লি পুলিশ-এর ভূমিকারও সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার তিনি গুজব মোকাবিলা এবং অশান্তি কমাতে সিভিল সিকিউরিটি বাহিনীর প্রশংসা করার পাশাপাশি কেজরির ২৪-২৫ ফেব্রুয়ারি দাঙ্গা রোধ করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য দোষ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন,"রবিবার রাতে গুজব ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দিল্লি পুলিশকে তীব্রতার সঙ্গে আটকানো উচিত ছিল। সোমবার এবং মঙ্গলবার পুলিশ যদি দাঙ্গা সীমাবদ্ধ রেখে দক্ষতার সাথে কাজ করত, তাহলে অনেক মানুষের জীবন বাঁচানো যেত।" আরও পড়ুন, গ্রেফতার দিল্লি হিংসার বন্দুকবাজ শাহরুখ
দিল্লি হিংসায় ৪৬ জন মৃত এবং ৩০০ জনেরও বেশি আহত হয়। সংঘর্ষ, দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় না পৌঁছার কারণে আপ সরকার পরবর্তীতে নিহতদের প্রতিটি পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রী তাদের বাড়িঘর যারা সহিংসতায় আবদ্ধ ছিল তাদের জন্য ২৫,০০০ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন।