Bipin Rawat (Photo Credit: Wikipedia)

দিল্লি, ১২ নভেম্বর: ভারত (India), চিন সীমান্ত সমস্যা ক্রমশ চিন্তার কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে দিল্লির কাছে। এমনই ইঙ্গিত মিলল চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতের কথায়। জেনারেল রাওয়াত বলেন, ভারতের নিরাপত্তা বলয়ে অন্যতম 'বড় হুমকি' চিন।

চিনের (China) সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা মেটাতে যে ১০ হাজার সেনা এবং অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েন করা হয় হিমালয় ঘেঁষা এলাকায়, তা এখনও ফেরানো যায়নি। দীর্ঘদিন ধরে চিনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সমস্যা মেটানো নিয়ে আলোচনা চলছে। তা সত্ত্বেও দ্বিপাক্ষিক আলোচনা আগ্রসর হয়নি বলে জানান বিপিন রাওয়াত (Bipin Rawat)।

জেনরালে রাওয়াত জআরও বলেন, সীমান্ত সমস্যা মেটাতে গত মাসে চিনের সঙ্গে ভারতের প্রায় ১৩ রাউন্ড কথা হয়েছে। পরপর ১৩ রাউন্ড আলোচনার পরও এ বিষয়ে কোনও সমাধান সম্ভব হয়নি দু দেশের মধ্যে। ফলে পরমাণু অস্ত্র সজ্জিত চিনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সমস্যা ক্রমশ জটিল হচ্ছে বলে জানান জেনারেল রাওয়াত।

ফলে চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক এবং কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে যাতে সীমান্ত সমস্যার সমাধান করা যায়, তার জন্য নরেন্দ্র মোদী সরকার বেশি করে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানান জেনারেল রাওয়াত। তাঁর কথায়, স্বাধীনতার পর থেকে পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে যেভাবে সীমান্ত সমস্যার সমাধান নিয়ে ভারত মাথা ঘামাতে শুরু করে, চিনের ক্ষেত্রে সেই একই পদক্ষেপ করা হচ্ছে ভারতের তরফে। অর্থাৎ পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের শত্রুতার চেয়ে এবং চিনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা মেটানো ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিপিন রাওয়াত।

আরও পড়ুন:  Kiren Rijiju: তথ্যের বিকৃতি, ভারতের মাটিতে চিনের কোনও বসতি নেই, বললেন কিরণ রিজিজু

এসবের মধ্যে সম্প্রতি পেন্টাগনের তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। যেখানে দাবি করা হয়, চিন সীমান্তে অরুণাচল প্রদেশের শেষ সীমান্তে চিন নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। পেন্টাগনের ওই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু (Kiren Rijiju) মুখ খোলেন। তিনি বলেন, অরুণাচল প্রদেশে চিন কোনও গ্রাম গড়ে বসতি তৈরি করছে না। সংবাদমাধ্যমের তরফে এ বিষয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়, তার কোনও সত্যতা নেই বলে জানান কিরণ রিজিজু।

রিজিজু বলেন, এই ধরনের রিপোর্টের জেরে ভারতীয় সেনার মনোবল ভেঙে যায়। তার জেরে এই ধরনের রিপোর্ট যাতে আর প্রকাশ্যে না আসে, সে বিষয়ে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।