চন্দ্রযান টু-এর যাত্রা স্থগিত। (Photo Credits: Twitter/ISRO)

শ্রী হরিকোটা, ১৫ জুলাই: কাউন্টডাউন শুরু হয়েছিল গতকাল থেকে। গোটা দেশ অপেক্ষায় ছিল বাহুবলী রকেটে চড়ে চন্দ্রযান টু (Chandrayaan 2) নিয়ে। কিন্তু উত্ক্ষেপণের ঠিক ৫৬ মিনিট ২৪ সেকেন্ড আগে প্রযুক্তিগত ত্রুটি ধরা পড়ায়, কোনও ঝুঁকি না নিয়ে স্থগিত করা হল চন্দ্র অভিযান। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন কেন্দ্রে ছিল সাজসাজ রব। কিন্তু একেবারে শেষ সময় অভিযান বাতিল করে দিতে হয়। রবিবার রাত ২টো ৫১ মিনিটে উড়ে যাওয়ার কথা ছিল 'বাহুবলী'-র (জিও সিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেলস মার্ক ৩ রকেট) ।

তবে কাউন্টডাউনের সময়েই তা স্থগিত করে দেওয়া হল প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে। ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উত্ক্ষেপণের পরবর্তী দিনক্ষণ পরে জানানো হবে। আরও পড়ুন-রুষ্ট প্রকৃতি: নেপালে ভয়ঙ্কর বন্যার মাঝে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া

কিন্তু ঠিক কী ধরনের প্রযুক্তিগত ত্রুটি! খোঁজে নিয়ে জানা গেল, চন্দ্রযান টু-এর সফরে বাদ সেধেছে ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন। সেটিতে তরল হাইড্রোজেন ভরা থাকে। চন্দ্রযান-২ কে চাঁদের কক্ষপথে স্থাপন করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই তরল হাইড্রোজেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দেখা যায়, সেটি থেকে চুঁইয়ে পড়ছে জ্বালানি। ফলে সতর্কতা অবলম্বন করে স্থগিত করা হয় অভিযান।

উত্ক্ষেপণের আগে ইসরো কর্তারা জানিয়েছিলেন, বাহুবালীর উড়ান নিয়ে কোনও চিন্তা নেই। আবহাওয়া ভাল। তবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ নিয়েই চিন্তা বেশি। পাশাপাশি ইসরোর প্রধান জানান, অভিযান বাতিল হলে পরে তা উত্ক্ষেপণ করা যেতে পারে তবে তার জন্য জটিল প্রযুক্তিগত পদ্ধতি পার হতে হবে। এর জন্য লেগে যেতে পারে এক সপ্তাহ বা এক মাস।

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় চন্দ্রযানের বাজেট মাত্র ১৪ কোটি ডলার। ৬৪০ টনের রকেট জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভিয়েকল মার্ক ৩(GSLV Mk III) ভারতের সবথেকে শক্তিশালী রকেট। রকেটটি বানাতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৭৫ কোটি টাকা। ৪৪ মিটার উঁচু এই রকেটের উচ্চতা প্রায় ১৫ তলা বিল্ডিং-এর সমান। এই রকেটের একটা ডাকনামও আছে। ভারতের সবথেকে শক্তিশালী রকেটের ডাকনাম 'বাহুবলী'।