নতুন দিল্লি, ১ ডিসেম্বর: সম্প্রতি গৃহীত কৃষি আইন নিয়ে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে দেশের কৃষকদের। এই আইন যাতে কেন্দ্র তুলে নেয় সেজন্য শান্তিপূর্ণ গণ আন্দোলন শুরু করেছে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশের কৃষকরা (Farmers Protest)। গত কয়েকদিন ধরেই দিল্লি চলো ডাক দিয়ে রাতপথে নেমে পড়েছে কৃষক সমাজ। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছে দেশের বিভিন্ন কৃষক সংগঠন। এই গৃহীত কৃষি আইনের বিরোধিতায় দিল্লির নিলানকারি মাঠে রীতিমতো ক্যাম্প তৈরি করে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন হাজারো কৃষক। আজ আরও অনেক কৃষক পায়ে হেঁটে দিল্লি সীমান্তে পৌঁছাবেন।
দিল্লিতে প্রবেশের পাঁচটি পয়েন্ট বন্দ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। যেহেতু কৃষকরা দিল্লি অভিমুখে আসছেন তাই ইতিমধ্যে রাজধানীতে প্রবেশের দুটি পয়েন্ট পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছে। বাকি দুটিতেও কড়াকড়ি বলবৎ হয়েছে। এখানে কৃষক আন্দোলনের সর্বশেষ খবর। আরও পড়ুন-Bhopal Gas Tragedy: ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসের অভিশাপ, বিষ বাতাসে নিভে যায় ১৫ হাজার প্রাণ
- সম্প্রতি গৃহীত কৃষি আইন নিয়ে কৃষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আজ বিকেল তিনটেয় বৈঠকে বসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।
- নরেন্দ্র সিং তোমর বলেছেন, আমরা ৩ ডিসেম্বর বৈঠকে বসব এমনটাই পূর্বনির্ধারিত। কিন্তু কৃষকরা আন্দোলনের মুডে রয়েছে। বাইরে একে ঠান্ডা তায় করোনাভাইরাস। তারপরেও বিজ্ঞান ভবনে মঙ্গলবার বিকেল তিনটের সময় কৃষক সংগঠনের নেতাদের আলোচনায় ডেকেছি। আমাদের অনুরোধ আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসুন। এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সন্ধান করা হোক।
- আজ বিকেল তিনটের সময় কেন্দ্র যখনকৃষ সংগঠনের নেতাদের আলোচনায় ডেকেছে। তখন সেখানে যেতে বাদ সাধল পাঞ্জাব কিষাণ সংঘর্ষ কমিটি। তাদের স্পষ্ট দাবি, যতক্ষণ না সম নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে ততক্ষণ তারা বৈঠক যোগ দেবে না।।
- দেশে ৫০০-র বেশি কৃষক সংগঠন রয়েছে। এদিকে কেন্দ্রের সরকার তারমধ্যে মাত্র ৩২টি সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন। বাকিদের আমন্ত্রণই জানায়নি সরকার। যতক্ষণ না সবাইকে ডাকা হচ্ছে ততক্ষণ আমন্ত্রণ গ্রহণের কোনও প্রশ্নই নেই। জানালেন পাঞ্জাব কৃষক সংঘর্ষ কমিটির যুগ্ম সভাপতি সুখবিন্দর এস সাভারন।
- মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে সিঙ্ঘু সীমান্তকে দুদিক থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ট্রাফিককে মুকারবা চক ও জিটিকে রোড থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
- টিকরি সীমান্তে বন্ধ যে কোনওরকমের ট্রাফিক চলাচল। বাদুসরাই ও ঝাটিকরা সীমান্তে শুধু দুই চাকা চলাচলের অনুমতি রয়েছে।
- আপনি যদি হরিয়ানা থেকে দিল্লিতে আসতে চান তাহলে ঝারোদা, ধানসা, দাউরালা, কাপাসহেরা, রাজোকরি আট নম্বর জাতীয় সড়ক, পালাম বিহার, দুদন্দাহেরা সীমান্ত ব্যবহার করুন।
- হরিয়ানার সমস্ত খাপ পঞ্চায়েত কৃষকদের সমর্থনে পতে নামছে। তারাও দিল্লি অভিমুখে রওনা হবে আজ।
- হরিয়ানা খাপ প্রধান সম্বির সাওয়ান বলেছেন, কেন্দ্রের কাছে আমাদের অনুরোধ গৃহীত কৃষি আইন কনসিডার করা হোক। প্রত্যেকেরই মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে।
- যদিও গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষি আইনের সমর্থনে মুখ খলেছেন। বলেছেন, “কৃষকদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। নতুন কৃষি আইন কৃষকদের উন্নতি কল্পেই বলবৎ হয়েছে। কৃষকরা তাদের স্বার্থের জন্য ভবিষ্যত ও ভিত্তিহীন হুমকির নামে বিপথগামী হচ্ছে।”