সিবিআই(Photo Credit: PTI)

দিল্লি, ২ সেপ্টেম্বর: উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডের নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের (CBI) কর্তারা। নির্যাতিতা ভয়াবহ পথদুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে লখনউ হাসপাতালে (Lucknow Hospital) ভর্তি হন। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমাবনতি দেখে সুপ্রিম কোর্টে নির্যাতিতাকে দিল্লির এইমসে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। তারপর থেকে এইমস-এই নির্যাতিতার চিকিৎসা চলছিল। ধীরে ধীরে তাঁরা শারীরিক অবস্থারও উন্নতি হচ্ছিল। সম্প্রতি কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, নির্যাতিতা এখন অনেকটাই ভাল আছেন। তিনি কথা বলতে পারবেন। তারপরই দুর্ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে তাঁকে জেরার প্রসঙ্গ ওঠে। সেকারণেই সোমবার এইমসে (AIIMS) এসে উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডের (Unnao Rape Case Victim) নির্যাতিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই।

ইতিমধ্যে নির্যাতিতার জবানবন্দি নেওয়া হলেও ধর্ষণ মামলায় নির্যাতিতার পক্ষের আইনজীবীর বয়ান এখনও রেকর্ড করা যায়নি। সেদিনের পরিকল্পিত দুর্ঘটনায় তিনিও গুরুতর আহত হন। নির্যাতিতাকে দিল্লি আনা হলেও সংকট জনক অবস্থায় লখনউ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন আইনজীবী। তিনি এখনও আইসিইউ-তেই রয়েছেন। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই পথদুর্ঘটনার মামলার নিষ্পত্তি করে দোষীদের কঠোর সাজা দিতে হবে। সেকারণে খুব শিগগির আইনজীবীর বয়ান কের্ড করতে লখনউ যাবে তদন্তকারী দল। মনে করা হচ্ছে আগামী শুক্রবারই আইনজীবীর জবানবন্দি দেশের শীর্ষ আদালতে পেশ করবে সিবিআই। আরও পড়ুন-মনমোহন সিংয়ের 'ম্যান মেড' সঙ্কটের দাবি উড়িয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বললেন, 'সাহায্যের প্রয়োজন থাকা সেক্টরের কথা শুনতে চায় সরকার'

উল্লেখ্য, এই পথ দুর্ঘটনার মামলায় ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে সিবিআই। মূল অভিযুক্ত অবশ্যই কুলদীপ সিং সেঙ্গার (Kuldeep Singh Senger))। সে যে ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তকে ঘুম পাড়িয়ে দিতে নির্যাতিতাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করেছিল তানিয়ে সিবিআই কর্তাদের কোনও সন্দেহ নেই। এদিকে কুলদীপ সিং সেঙ্গারের বিরুদ্ধেই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। তবে পথ দুর্ঘটনায় খুন করার চক্রান্তকে নিজের গাড়ে নিতে নারাজ ওই বিজেপি বিধায়ক। গত ২৮ জুলাই রায়বেরিলিতে গাড়িত করে যাচ্ছিলেন উন্নাও ধর্ষণে কাণ্ডের নির্যাতিতা। সঙ্গে তাঁর দুই কাকিমা ও আইনজীবীও ছিলেন। একটি ট্রাক তাঁদের গাড়িটিকে পিষে দেওয়ার চেষ্টা করে। এই দুর্ঘটনায় দুই কাকিমার মৃত্যু হয়েছে। কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচেছেন নির্যাতিতা ও তাঁর আইনজীবী। তবে দুজনেই এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।