লখনউ, ১৮ ডিসেম্বর: শুক্রবার হাথরাস কাণ্ডে (Hathras Gangrape Case) অভিযুক্ত চার জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল সিবিআই (CBI)। হাথরসে অভিযুক্ত সন্দীপ, লবকুশ, রবি ও রামুর বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ এনেছে সিবিআই। লোকাল কোর্ট এই মামলাটি গ্রহণ করেছে। হাথরসের দলিত তরুণীকে আদৌ গণধর্ষণ করা হয়েছিল কি না, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল একাংশের। উচ্চবর্ণের কিছু মানুষেরও দাবি ছিল, অভিযুক্তদের ফাঁসানো হয়েছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর গণধর্ষণ করা হয় দলিত পরিবারের তরুণীকে। প্রথমে উত্তরপ্রদেশের এক হাসপাতাল, পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় দিল্লিতে সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। যেদিন ভর্তি করা হয়েছিল, তারপর দিনই মারা যান ওই তরুণী। ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর ভোররাতে পরিবারের অমতেই মৃত তরুণীর সত্কার করে পুলিশ। সৎকারের সময় প্রচুর পুলিশ উপস্থিত ছিল। আরও পড়ুন, গৃহীত হল না শুভেন্দু অধিকারীর বিধায়ক পদ থেক ইস্তফাপত্র
এই ঘটনার পর অভিযোগ যোগী সরকারের ওপর চাপ বাড়তে থাকে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা মহল থেকে প্রশ্ন ওঠে। রাতের অন্ধকারে পুলিশ মৃতার পরিবারকে দূরে রেখে যে ভাবে দেহ সত্কার করেছে, তা নিয়ে পুলিশকর্তা ও জেলাশাসককে ভর্ত্সনাও করে আদালত, এমনকি দেশবাসীও। বাধ্য হয়ে বিশেষ তদন্ত কমিটি তৈরি করেছিল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। চাপের মুখে পড়ে এই মামলার তদন্ত হাতে নেয় সিবিআই। ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যদের বয়ানও নথিভুক্ত করা হয়। অভিযুক্ত এই চার জনই এখন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে।