নতুন দিল্লি, ২১ জানুয়ারি: সংসদের ক্যান্টিনে (Parliament's Canteen) বাড়তে চলেছে খাবারের দাম। এমনকি কাটছাঁট করা হবে অনেক মেনুর (Menu)। এখনও পর্যন্ত সংসদের মেনুতে ৪৮ টি পদ পাওয়া যায়। যদিও আমিষ মেনুতে থাকছে। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা নিজে খাবারের দামের বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। দেশজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা। পেঁয়াজ, সবজির অগ্নিমূল্য দাম। ফলে পকেটে টান দেশজুড়েই।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া একটি ইন্টারভিউতে স্পিকার জানান,"আমরা আশা করছি শীঘ্রই দুটি পার্টে বাজেট হবে তাতে এই বিষয়ে ঘোষণা করব। নতুন দাম নির্ধারণ করে আগামী মার্চের মধ্যেই খাবারের দাম নির্ধারণ করা হবে।" লোকসভা সচিবালয় আসন্ন বাজেট অধিবেশন শুরু থেকেই সংশোধিত হারগুলি সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছিল। গত ডিসেম্বরে পার্লামেন্টের ক্যান্টিনে ভর্তুকির ব্যাপারে আলোচনা করেছিলেন স্পিকার।
আরও পড়ুন, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কাটিয়ে ফের হিমেল পরশ, একলাফে ৩ ডিগ্রি পারদ পতন
কতজন ক্যান্টিনে খাবার খায়, কী খাবার খায়, সংসদকে কত টাকা ভর্তুকি দিয়তে হয় তিনি সেসব বিষয় খতিয়ে দেখেন। তিনি আরও বলেন, কিছু পদ খাবারের মেনু থেকে বাদ দেওয়া হবে। যে খাবারগুলির চাহিদা কম সেগুলিকে পদ থেকে বাদ দেওয়া হবে। একটি নিরামিষ থলির দাম ৪০ টাকা এবং রুটি বিক্রি হয় ২ টাকায়। লোকসভায় স্পিকার থাকাকালীন সুমিত্রা মহাজন ক্যান্টিনের খাবারে ভর্তুকি প্রত্যাহার করে নেন। দেশজুড়ে সমালোচনা হয়। ফলে সংসদে যারা এত মোটা মাইনের কাজ করেন, তাদের জন্য এত কম টাকায় খাবার পরিষেবা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সকলে। পার্লামেন্ট ক্যান্টিনের খাবারে ভর্তুকি মকুবের ফলে বার্ষিক প্রায় ১৭ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।