নতুন দিল্লি, ৯ জানুয়ারি: বছর শুরু হয়েছে মাত্র ৯টা দিন হল। এর মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হল চলতি বছরের বাজেট (Budget) পেশের দিন। এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে (Financial Year) অর্থাৎ ২০২০-২১-এ কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের দিন আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। বাজেট পেশের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হতে চলেছে চলতি মাসের ৩১ তারিখে। যা শেষ হবে ১১ ফেব্রুয়ারি। এদিকে দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মার্চের ২ তারিখ থেকে এপ্রিলের ৩ তারিখ পর্যন্ত।
এদিকে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) তাঁর প্রথম বাজেটের কোনও অঙ্কই মেলাতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় ক্রমশ বাড়ছে। কারণ অর্থমন্ত্রীর (Finance Minister) চিন্তা বাড়িয়ে আজ অর্থমন্ত্রকের কর্তারা জানিয়েছেন, বাজেটে বিলগ্নিকরণ থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রাও ছোঁয়া যাবে না। বিলগ্নিকরণ থেকে ১ লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকা ঘরে তোলার লক্ষ্য নিয়েছিলেন নির্মলা। অর্থমন্ত্রক সূত্রের খবর, চলতি বছরে খুব বেশি হলে বিলগ্নিকরণ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা ঘরে আসবে। অর্থাৎ ৪০ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি। অর্থনীতির ঝিমুনির ফলে অর্থমন্ত্রী বাজেটে যে কর বাবদ আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিলেন, বাস্তবে আয় তার থেকে ২ লক্ষ কোটি টাকা কম হতে পারে আগেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। গতকাল পরিসংখ্যান মন্ত্রক প্রকাশিত অনুমান, চলতি বছরে বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশে আটকে থাকবে। মূল্যবৃদ্ধি-সহ জিডিপি মাত্র ৭.৫% হারে বাড়বে। অর্থনীতির বৃদ্ধির গতি কমে গেলে, আমজনতা থেকে কর্পোরেট সংস্থা, কারও আয়ই তেমন বাড়ে না। ব্যবসা-বাণিজ্যও কম হয়। ফলে কর বাবদ রোজগার কমে সরকারের। তার উপরে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে মোদী সরকার কর্পোরেট কর কমিয়েছে। ফলে কর বাবদ আয় লক্ষ্যমাত্রার থেকে ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা কম হতে পারে। আরও পড়ুন: Death Threat To PM Modi & Amit Shah: নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে খুনের হুমকি, অভিযুক্তকে নিয়ে কী করল পুলিশ?
Sources: First part of budget session to be held from January 31 to February 11. Budget to be presented on February 1. Second phase of budget session to be held from March 2 to April 3. pic.twitter.com/5LlUQ1gZoE
— ANI (@ANI) January 9, 2020
মন্ত্রক কর্তাদের যুক্তি, রাজকোষ ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রা ছাপালেও তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার একমাত্র উপায় খরচ ছাঁটাই করা। অর্থবর্ষের শেষ তিন মাসে বেশি খরচ না-করার নির্দেশ জারি হয়েছে। ১০০ দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) গ্রামীণ আবাস যোজনার মতো প্রকল্পের খরচে হাত পড়েছে। সব মিলিয়ে বাজেট বরাদ্দ থেকে প্রায় ২.২ লক্ষ কোটি টাকা খরচ কমানো হতে পারে। কেন্দ্র জানিয়েছে, এ বছর জিডিপি (GDP) ২০৪ লক্ষ কোটি টাকাতেই আটকে থাকবে। অথচ বাজেটে জিডিপি ২১১ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছবে বলে হিসেব কষেছিলেন নির্মলা। অনুমান ছিল, রাজকোষ ঘাটতি ৭.০৪ লক্ষ কোটি টাকায় বেঁধে রাখা যাবে। জিডিপির তুলনায় ৩.৩%। এখন জিডিপি-ই কমে গিয়েছে। রাজকোষ ঘাটতির পরিমাণ ৭.০৪ লক্ষ কোটিতে বাঁধা গেলেও তার হার জিডিপি-র তুলনায় বাড়বে। কিন্তু ঘাটতি কি তাতে বাঁধা যাবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, যাবে না। কেয়ার রেটিংসের অনুমান, ঘাটতি ৩.৯ থেকে ৪.১ শতাংশে পৌঁছবে।