তামিলনাড়ুর বিএসপি সভাপতি কে আর্মস্ট্রং (K Armstrong) খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। রবিবার এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া অন্যতম অভিযুক্ত কে থিরুভেঙ্গদাম পুলিশে হাত থেকে পালাতে গিয়ে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়। জানা যাচ্ছে, এদিন সকালে তামিলনাড়ুর তিরুভাল্লুরের মাধবারাম এলাকায় একটি জলাশয়ে কাছে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর ছিল এখানেই নাকি আর্মস্ট্রংকে খুন করার পর অস্ত্রগুলি লুকিয়েছিল অভিযুক্তরা। আর সেগুলির খোঁজেই এখানে এসে পালাতে যায় থিরুভেঙ্গদাম। আর তখনই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে খুনের সরঞ্জামগুলিও উদ্ধার হয়েছে বলে খবর।

কে. আর্মস্ট্রং খুনের ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত ১১ জন সন্দেহভাজনকে আটক করেছিলেন। যার মধ্যে থিরুভেঙ্গদাম ছিল অন্যতম। বছর ৩৩-এর এই ব্যক্তিকে কয়েকদিন ধরে জেরা করে মাধবারাম এলাকার হদিশ পায়। তারপর আজ সকালে তল্লাশি অভিযানে তাঁকে নিয়ে গেলে এক পুলিশকর্মীর ওপর হামলা চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল থিরুভেঙ্গদাম। তখনই পেছন থেকে তাঁর ওপর গুলি করা হয়। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে

প্রসঙ্গত, গত ৫ জুলাই চেন্নাইয়ের পেরাম্বুরে নিজের বাড়ির সামনে খুন হতে হয় আর্মস্ট্রংকে। সন্ধের দিকে জনা ছয়েক দুষ্কৃতি বাইকে চেপে ওই এলাকায় ঢোকে। সেই সময় বিএসপি নেতা বাড়ির সামনে দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে গল্প করছিলেন। তখনই ওই দুষ্কৃতিরা এসে তাঁর ওপর ধাতব বস্তু দিয়ে হামলা চালায়। আর তাতেই ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে আর্মস্ট্রং। পরে এলাকাবাসী এসে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনার পর ১১ জুলাই থিরুভেঙ্গদামসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।