
দিল্লি, ৩ জুন: তুর্কীতে (Turkey) গ্রেফতার ভারতীয় ভ্লগার (Indian Vlogger)। মালিক এসডি খান নামে এক ভারতীয় ভ্লগারকে গ্রেফতার করা হয় তুর্কীতে। স্থানীয় মহিলাদের প্রতি কটূক্তি, অশালীন ইঙ্গিত করার অভিযোগে (Sexual Remarks) তুর্কী মালিক এসডি খান নামের ওই ভারতীয় ভ্লগারকে গ্রেফতার করা হয় (Indian Vlogger Held In Turkey)। যার জেরে মালকি এসডি খান নামে ওই ভারতীয় ভ্লগারের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরি হয় এবং তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর। প্রসঙ্গত মালিক এসডি খান নামের ওই ভারতীয় ভ্লগারকে শোনা যায়, স্থানীয় এক মহিলার প্রতি যৌন উসকানিমূলক ইঙ্গিত করতেও।
গ্রেফতারির পর মালিক এসডি খান নামের ওই ভারতীয় ভ্লগারকে (Indian) প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হয়। সেই সঙ্গে তাঁর ইউটিউবে যে অশালীন কনটেন্টগুলি ছিল, সেগুলিও ডিলিট করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। এসবের পাশাপাশি মালিক এসডি খান নামে ওই ভারতীয় ভ্লগারকে তাঁর একটি চ্যানেলে ধর্ষণের হুমকি দিতেও দেখা যায় বলে খবর। সবকিছু মিলিয়ে এসডি খান নামে ওই ভারতীয় ভ্লগারের গ্রেফতারি নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে।
মালিক এসডি খানের বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে শুরু করেছে। যেখানে স্থানীয় এক মহিলা ট্যুরিস্ট গাইডের সঙ্গে দেখা যায় তাঁকে। ওই মহিলা ট্যুইস্ট গাইডের সঙ্গে কথা বলার সময় মহম্মদ এসডি খানকে বেশ কয়েকটি অপশব্দ ব্যবহার করতে দেখা যায়।
ওই মহিলা ট্যুরিস্ট গাইড কিছু বুঝতে পারছিলেন না বলে তিনি হাসতে থাকেন। তবে মালিক এসডি খানের ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে হইচই পড়ে যায়। এরপরই ওই ভারতীয় ভ্লগারকে গ্রেফতার করে তুর্কী পুলিশ। গ্রেফতারির পর নিজের ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম এবং এক্স অ্যাকাউন্টে ক্ষমা চাইতে দেখা যায় এসডি খানকে।
ভারতীয় ভ্লগার বলেন, তিনি ক্ষমা চাইছেন। হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে তুর্কী মহিলাদের কাছে ক্ষমা চাইছেন। তিনি কাউকে আঘাত করতে চাননি। তাঁর কথায় বা ব্যবহারে যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী বলে জানান ওই ভারতীয় ভ্লগার।
তুর্কী দোকানদার সম্পর্কে অশালীন ভাষা প্রয়োগ
মহিলাদের পাশাপাশি মালিককে দেখা যায় স্থনাীয় এক তুর্কী দোকানদারের প্রতি অশালীন শব্দ ব্যবহার করতে। যে বিষয়টি চোখে পড়তেও তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়।
সম্প্রতি ভারতের অপারেশন সিঁদূরের (Operation Sindoor) সময় পাকিস্তানকে (Pakistan) সমর্থন করে তুর্কী। এমনকী ভারতে যে ড্রোনগুলি দিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান, তা তুর্কীর দেওয়া বলেও জানা যায়। ফলে আঙ্কারা যেভাবে ইসলামাবাদকে সমর্থন করছে, তার জেরে ভারতের তরফে পাক বন্ধু দেশকে বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। ফলে ভারতের সঙ্গে তুর্কীর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বর্তমানে প্রায় তলানিতে। তার মাঝে এই ঘটনার জেরে দুই দেশের সম্পর্কে আরও কোনও প্রভাব পড়বে কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।