নতুন দিল্লি, ৩০ মার্চ: বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড (RampurhatViolence) নিয়ে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে (JP Nadda) রিপোর্ট জমা দিল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি (Fact-Finding Committee)। আজ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), ভারতী ঘোষরা (Bharati Ghosh) নাড্ডার হাতে রিপোর্ট তুলে দেন। হিংসার রিপোর্ট যাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টরমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) হাতে তুলে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে চেষ্টা চালানো হবে বলেও জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
নাড্ডাকে দেওয়া রিপোর্টে প্রতিনিধি দল জানিয়েছে, তৃণমূলের নেতৃত্বে মাফিয়ারা পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে যোগসাজশে পশ্চিমবঙ্গে শাসন করছে। আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জীবন ও সম্পত্তির হারানোর ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাই সুপারিশ করা হচ্ছে যাতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, মহিলা কমিশন ও শিশু অধিকার সংরক্ষণের জন্য জাতীয় কমিশন বগটুই গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুক।"
হত্যাকণ্ডের ঘটনার পর জেপি নাড্ডার নির্দেশে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে যান বিজেপির ওই প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন চার অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার। তাঁরা হলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল, সাংসদ সত্যপাল সিং, সাংসদ রামমূর্তি, বিজেপি মুখপাত্র ভারতী ঘোষ। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাঠানো ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গেই রামপুরহাট যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত মজুমদার বাদে বাকি সবাই প্রাক্তন আইপিএস অফিসার। বগটুই গ্রামে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই প্রতিনিধি দল। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা। আরও পড়ুন: Rampurhat Violence: ভাদু শেখ খুনে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ
Delhi | BJP fact-finding committee submits report on #BirbhumViolence, West Bengal to party chief JP Nadda. pic.twitter.com/UC5Zk15o3f
— ANI (@ANI) March 30, 2022
এদিকে রামপুরহাটের বগটুইকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়ে যায়। বগটুইকাণ্ড নিয়ে সিবিআই তদন্তে সব ধরণের সাহায্য করা হবে বলে জানানো হয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে।