Narendra Modi, Rahul Gandhi, Nitish Kumar and Tejashwi Yadav. (Photo Credits:X)

Bihar Election 2025 Schedule: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। গত বছর লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানো নরেন্দ্র মোদী সরকারকে বাঁচিয়ে দেন নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডু। নীতীশের রাজ্যে ভোটের ওপর তাই দেশের রাজনীতির অনেক কিছুই নির্ভর করছে। রাজনৈতিক মহল আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে বিহার ভোটের দিকে। সূত্রের খবর, বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হতে পারে অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। দশেরার পরই নির্বাচন কমিশন বিহার ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি ও নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে চলেছে। ২৮ অক্টোবর, ছটপুজো মিটলেই দুই অথবা তিন দফায় হবে বিহারে ভোট। ১৫-২০ নভেম্বরের মধ্য়ে ভোট গণনা হতে পারে। গতবার ২০২০ বিহার বিধানসভা ভোট তিন দফায় করা হয়েছিল। ভোট শুরু হয়েছিল ২৮ অক্টোবর থেকে। ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছিল ১০ নভেম্বর।

বিহারে ২৪৩টি বিধানসভা আসন আছে, সংখ্য়াগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২২

প্রসঙ্গত, বিহারে মোট ২৪৩টি বিধানসভা আসন রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে প্রয়োজন ১২২টি আসনের। গতবার সেখানে একক সংখ্যা গরিষ্ঠ দল হয়েছিল লালুপ্রসাদের যাদবের আরজেডি। লালুর দল ৭৫টি আসনে জিতেছিল। তবে কোন দল বা জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। শেষ পর্যন্ত প্রথমে কংগ্রেস-আরজেডি, পরে বিজেপির সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হন জেডি (ইউ)-এর নীতীশ কুমার। বিজেপি গতবার ৭৪টি, নীতীশের জেডি (ইউ)-৪৩ ও কংগ্রেস ১৯টি আসনে জিতেছিল।

এনডিএ বনাম ইন্ডিয়া- কোন দিকে কে

গতবারের মত এবারও এনডিএ জোটের অধীনে একসঙ্গে লড়বে বিজেপি, জেডি (ইউ), এলজেপি (রামবিলাস), জিতন রামমাঝির হিন্দুস্থান আওয়ামি মোর্চা। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া জোট বা মহাগঠবন্ধনের অধীনে একসঙ্গে জোট গড়ে লড়বে আরজেডি, কংগ্রেস, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, সমাজবাদী পার্টি ও সিপিআই সহ বিভিন্ন বামফ্রন্টের দলগুলি। তৃতীয় শক্তি হিসাবে হাজির ভোট বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোরের দল জন সূরষ পার্টিও। ইন্ডিয়া জোটের অঘোষিত মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী আরজেডি নেতা তথা লালু পুত্র তেজস্বী যাদব। আর এনডিএ জোটের মুখ নীতীশ কুমার। তবে বিজেপির একাংশ চায় মহারাষ্ট্রের মডেলে নীতীশকে সরিয়ে তাদের দলের কেউ ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রী হন।

বিহারে ভোটের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে

বিহারে 'বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’ (স্পেশ্যাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর)-নিয়ে এখন ব্যস্ত কমিশন। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটার তালিকা থেকে বহু নাম ইচ্ছতাকৃতভাবে বাদ দিয়ে বিজেপিকে সুবিধা করে অভিযোগ তুলেছে।