PM Modi's Ladakh visit: ভারত মাতার শত্রুরা আপনাদের তেজ ও ক্রোধ দেখেছে, লাদাখে বললেন প্রদানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
লাদাখে প্রদানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি Photo: ANI)

লাদাখ, ৩ জুলাই: চিনের (China) সঙ্গে সংঘাতের আবহে আজ লাদাখে (Ladakh) এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন সেনা প্রধান এমএন নারাভানে ও চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত। আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের লাদাখ আসার কথা ছিল। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে আজ বোরে রাজনাথের বদলে লাদাখ চলে এলেন নরেন্দ্র মোদি। লাদাখ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। ১১,০০০ ফুট উঁচুতে সিন্ধু নদের ধারে লাদাখের নিমুতে সেনা, বায়ু সেনা ও আইটিবিপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। সেখানে জওনাদরে সামনে বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "পুরো দেশের বিশ্বাস আছে যে আপনারা সীমান্তে আছেন। দেশ রক্ষায় আছেন। দেশের জন্য আপনারা দিন-রাত কাজ করছেন। আত্মনির্ভর ভারত আপনাদের ত্যাগ, বলিদানে ও পুরুষত্বের কারণে আরও মজবুত হবে। আপনারা যে বীরতা দেখিয়েছেন, তাতে পুরো বিশ্ব বুঝে গেছে আমাদের শক্তি। আপনাদের কাজ আমাদের প্রেরণা দেয়।"

মোদি বলেন, "গালওয়ানে শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাাচ্ছি। দেশের প্রতিটা কোণে বীর সেনারা তাঁদের বীরতা দেখাচ্ছেন। তাঁদের পরাক্রম পৃথিবী জয় জয়কার করছে। আজ দেশের প্রতিটি নাগরিক তাঁদের কাছে মাথা নত করছে। আজ প্রতিটি ভারতীয় ছাতি ফুলে গেছে আপনাদের পরাক্রমে। সিন্দু নদের আর্শীবাদে এই এলকা পুণ্য হয়েছে। সাক্ষী সবাই। পুরো বিশ্ব আপনাদের সাহস দেখেছে। সবার ঘরে আপনাদর সাহসের কাহিনী বলা হচ্ছে। ভারতমাতার শত্রুরা আপানাদের তেজ ও ক্রোধ দেখেছে।" আরও পড়ুন: PM Modi's Ladakh visit: 'পরিস্থিতি ঘোরাল করে তুলতে পারে এমন কোনও পদক্ষেপে নেওয়া উচিত নয়', নরেন্দ্র মোদির লাদাখ সফর নিয়ে প্রতিক্রিয়া চিনের

প্রধানমন্ত্রী বলেন, "লাদাখ ভারতের মাথা। ১৩০ কোটি নাগরিদের মান ও সম্মান জড়িয়ে। একে রক্ষা করতে হবে। লাদাখ মহান রাষ্ট্রভক্তদের দিয়েছে। আমাদর সংকল্প ও সামর্থ হিমালয়ের মতো উঁচু। আমি সেটা আপনাদের চেহারা ও চোখে দেখছি। আক্রমণের কড়া জবাব দিয়েছেন আমাদের সেনারা। আমার সেই লোক যারা বাঁশি বাাজানো শ্রী কৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা করি, আবার সেই একই লোক সুদর্শন চক্রধারী কৃষ্ণকে অনুসরণ করি। মানবকল্যাণের জন্য ভারতের কাজের কথা সবাই জানে। তেমনি আমরা এটাও জানি, যারা দুর্বল তারা কখনই শান্তির সূচনা করতে পারে না, সাহসিকতা শান্তির পূর্বশর্ত। বীরতা শান্তির বাার্তা দেবে। ভারতের শক্তিবৃদ্ধি মানবকল্যাণের জন্যই। ভারত সব আধুনিক অস্ত্র সেনার জন্য আনছে। এটার পেছনে এটাও কারণ। বিশ্বযুদ্ধ হোক বা শান্তি, যখনই প্রয়োজন দেখা দেয়, বিশ্ব আমাদের সাহসিকতা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা দেখেছে। আমরা মানবতার উন্নতির জন্য কাজ করেছি।"

নাম না করে চিনকে মোদির হুঁশিয়ারি, "বিস্তারবাদের যুগ শেষ হয়ে গেছে। এই যুগ বিকাশবাদের। বিকাশবাদই প্রাসঙ্গিক। এটার জন্য সময় আছে। এটাই ভবিষ্যত। গত শতাব্দীতে বিস্তারবাদই মানববতার ক্ষতি করেছে, মানবতাকে শেষ করেছে। বিশ্বশান্তির সামনে বিকাশবাদ হুমকি। তবে এসব শক্তি এখন শেষ হয়ে গেছে। পুরো বিশ্ব বিস্তারবাদের বিরুদ্ধে। বিশ্ব বিকাশবাদে সমর্পিত। তাকে স্বাগত জানাচ্ছে। যখন যখন সুরক্ষার বিষয়ে ভাবি তখন আমি দুজন মায়ের কথা মনে করি। একজন ভারতমাতা। আর অনেক বীরমাতা, যাঁরা আপনাদের জন্ম দিয়েছেন। আপনাদের সম্মান, আপনাদের পরিবারের সম্মান আমাদের কাছে অগ্রাধিকার। সেনার জন্য আধুনিক হাতিয়ার ও অন্য সরঞ্জামে আমরা গরুত্ব দিয়েছি।"