Brain Eating Amoeba, Representational Image (Photo Credit: Latestly)

Beware Of Brain Eating Amoeba: মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবার প্রভাব ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এবার কেরল (Kerala)থেকে ফের নতুন করে ব্রেন ইটিং অ্য়ামিবায় আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে। যা কেরলে যেমন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, তেমনি গোটা দেশ জুড়ে উদ্বেগ তৈরি করছে। কেরল পেরিয়ে এই ব্রেন ইটিং অ্যামিবা লক্ষদ্বীপেও পৌঁছে গিয়েছে।

রিপোর্টে প্রকাশ, লক্ষদীপের এই বাসিন্দার জ্বর এবং মাথার যন্ত্রণা শুরু হলে, তাঁকে কেরলের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কোচির যে বেসরকারি হাসপাতালে ওই ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়, সেখান থেকে সামনে আসে ভয়ের খবর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, ওই ব্যক্তি ব্রেন ইটিং অ্যামিবায় আক্রান্ত।

ব্রেন ইটিং অ্যামিবার সংক্রমণে ভয়ঙ্কর খবর সামনে আসছে কেরল থেকে 

রিপোর্টে প্রকাশ, ব্রেন ইটিং অ্যামিবার আক্রমণে করলে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে শুধুমাত্র এক মাসে। অক্টোবর মাসে পরপর যে কজন ব্রেন ইটিং অ্যামিবায় আক্রান্ত হন কেরলে, তাঁদের মধ্যে থেকে ১২ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। প্রসঙ্গত অক্টোবর মাসে কেরলে ৬৫ জনের এই ব্রেন ইটিং অ্যামিবায়য় আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলে। যাঁদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্য়ু হয়।

প্রাণঘাতী অ্যামিবিক মেনিনগোয়েনসেফালাইটিস আদতে কী?

নেগেলেরিয়া ফাওলেরি নামের অ্যামিবা সংক্রমিত হয়ে প্রাণঘাতী অ্যামিবিক মেনিনগোয়েনসেফালাইটিসে আক্রান্ত হন মানুষ। দূষিত জল থেকে এই সংক্রমণ ছড়ায়। পুকুর থেকে নদী বা লেক, যে কোনও ধরনের স্থির জলাশয় থেকে এই ধরনের সংক্রমণ হয়। পুকর, নদী বা লেকের জলে স্নান করলে নাক দিয়ে এই ব্রেন ইটিং অ্যামিবা প্রবেশ করে। নাক দিয়ে এই ভাইরাস প্রবেশ করে সোজা মাথায় চলে যায়। তারপরই যে কোনও মানুষ এই ব্রেন ইটিং অ্যামিবায় আক্রান্ত হন।

ব্রেন ইটিং অ্যামিবার সংক্রমণ থকে বাঁচতে কী করতে হবে

তাই বদ্ধ জলাশয় এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে বদ্ধ নোংরা পুকুর, লেক কোনও কিছুতে স্নান করতে যাবেন না।

যে কোনও ধরনের সুইমিং পুল ববা ওয়াটার পার্কে গেলে, সেখানকার জলে যাতে পর্যাপ্ত ক্লোরিন থাকে, তা নিশ্চিত করুন।

পুকুর বা বদ্ধ জলাশয়ে যাবেন না মুখ ধুতে। মুখে কোনওভাবে ওই জল দিলে, ব্রেন ইটিং অ্যামিবা নাক দিয়ে সোজা মস্তিষ্কে চলে যেতে পারে।

ব্রেন ইটিং অ্যামিবার লক্ষ্মণ কোনগুলি 

ব্রেন ইটিং অ্যামিবায় আক্রান্ত হলে জ্বর, বমি হতে পারে।

ঘাড় শক্ত হয়ে যায়।

চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়।

শরীরে খিঁচুনি দেখা দেয়।

কারও শরীরে যদি এই ধরনের উপসর্গ দেখা েদয়,তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে বলে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।