Bengaluru Murder (Photo Credit: X)

বেঙ্গালুরু, ২৩ সেপ্টেম্বর: বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) তরুণীকে খুন করে তাঁর দেহাংশ ফ্রিজে (Fridge) ভরে রাখার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ভয়াবহ ওই খুনের জেরে  চাঞ্চল্য ছড়ায়। বেঙ্গালুরুতে যে তরুণীকে ভয়াবহভাবে খুনের পর দেহাংশ ফ্রিজে ভরে রাখা হয়, সেই অভিযুক্তকে সনাক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ (Police)  সূত্রে খবর। শিগগিরই যাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যায়, সেই চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়। তবে মহালক্ষ্মী দাস নামে ওই তরুণীকে যে ব্যক্তি খুন করেছে, সে বেঙ্গালুরুর নয়। বাইরের কেউ বলে প্রাথমিক তদন্তে জানানো হয় পুলিশের তরফে। তবে অভিযুক্তর নাম, পরিচয় পুলিশের তরফে প্রকাশ করা হয়নি। কোনওভাবে যাতে অভিযুক্ত হাত ফসকে বেরিয়ে যেতে না পারে, তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ পুলিশের তরফে করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: Bengaluru Shocker: পোকা, রক্তের দাগ, ফ্রিজ খুলতেই তরুণীর টুকরো দেহাংশ বেরিয়ে এল, ভয়াবহ ঘটনা

মহালক্ষ্মী দাস নামে বছর ২৬-এর ওই তরুণী একাই সিঙ্গল বেডরুম নিয়ে থাকতেন বেঙ্গালুরুতে। তাঁকে খুন করে দেহাংশের ৩০ টুকরো করে ফেলা হয় বলে খবর। মহালক্ষ্মী কর্ণাটকের নন। তবে কর্মসূত্রে তিনি বেঙ্গালুরুতে থাকতেন। সেখানকার একটি শপিং মলে কাজ করতেন মহালক্ষ্মী। তাঁর স্বামী কর্মসূত্রে অন্যত্র থাকেন বলেও জানা যায় পুলিশের তরফে।

বেঙ্গালুরুর ভ্যালিকাভাল এলাকা থেকে ভয়াবহ ঘটনা সামনে আসে। যেখানে বছর ২৬-এর এক মহিলাকে কুপিয়ে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করা হয়। এরপর ওই মহিলার টুকরো দেহ ১৬৫ লিটারের ফ্রিজে ভরে রাখা হয়। মহালক্ষ্মী দাস নামে ওই মহিলার দেহ যেভাবে পুলিশ খুঁজে পায়, সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়।

বছর ২৬-এর ওই তরুণীর দেহ খুঁজে পাওয়ার পর তাঁর মা মুখ খোলেন। তাঁর মা জানান, মহালক্ষ্মী দাস যে ফ্ল্যাটে থাকতেন, সেখান থেকে বেশ কয়েকদিন ধরে পচা দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করে। প্রতিবেশীরা সেই খবর পুলিশকে (Police) দেয়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহালক্ষ্মীর ঘরের দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢোকে। এরপর ফ্রিজ থেকে ওই তরুণীর দেহাংশ উদ্ধার করা হয় বলে খবর।

এরপর পুলিশ মহালক্ষ্মী দাসের ঘরে ঢুকে দেখে সবকিছু ছড়ানো অবস্থায় রয়েছে। মহালক্ষ্মীর ঘরের সমস্ত আসবাব, জামাকাপড় সব ছড়ানো রয়েছে। এরপরই ফ্রিজের পাশে পোকা চোখে পড়ে পুলিশের। ফ্রিজ খুলতেই সেখানে দেহাংশের খোঁজ মেলে। পাশাপাশি ফ্রিজের পাশে রক্তের দাগও পুলিশের চোখে পড়ে। কে বা কারা মহালক্ষ্মী দাসকে খুন করে তাঁর দেহাংশ ফ্রিজে ভরে রাখে, সে বিষয়ে খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।

ঘটনার জেরে বিজেপি এবং কংগ্রেস সরকারের মধ্যে জোরদার রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।