নয়া দিল্লি, ২৭ অগাস্ট: Arun Jaitley Last Rites: গত রবিবার বিকেলে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি-র শীর্ষনেতা অরুণ জেটলির শেষকৃত্যে ঘটল অপ্রত্যাশিত ঘটনা। যমুনার তীরে নিগামবোধ ঘাটে অরুণ জেটলির শেষকৃত্যের সময় আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) -র ফোন চুরি হয়ে গেল। শুধু বাবুল একা নন, সেই শোকের দিনে অন্তত ১০ জন ভিআইপি (VIP) -র ফোন খোয়া গিয়েছে বলে দাবি। শোকের সুযোগে হাতসাফাই করে গেল চোরেরা। সবাই যখন জেটলির শেষ বিদায়ে ভারাক্রান্ত মনে স্মৃতিচারণায় ব্যস্ত ছিলেন, সেই সুযোগে চোরেরা হাতসাফাই করে গেল। একেবারে মন্ত্রী-ভিভিআইপিদের পকেট থেকে তুলে নিয়ে পালাল ফোন। অরুণ জেটলির শেষকৃত্যে হাজির থাকা পতঞ্জলী মুখপাত্র এসকে তিজারাওয়ালা অভিযোগ করেন, সেদিন তিনি জেটলির শেষকৃত্যের যে ছবিগুলি তুলেছিলেন, সেটা কেউ চুরি করে পালিয়েছে।
পাশাপাশি তিনি দাবি করেন বাবুল সুপ্রিয় সহ দশ জন গত রবিবার সন্ধ্যায় ফোন খুইয়েছেন। তিজারাওয়ালা টুইট করে হতাশাপ্রকাশ করে এই অভিযোগ করেন। এই শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ ভিভিআইপি-রা। বিদেশে সফরে ব্যস্ত থাকায় অবশ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেদিন নিগামবোধ ঘাটে হাজির ছিলেন না। আরও পড়ুন-ভারত-পাক দ্বন্দ্বের পরিণতিতেই পারমাণবিক যুদ্ধ, হুঁশিয়ারি দিলেন ইমরান খান
Chori nehi Dada. Bohot smartly pickpocket kar kia gaya•that push & over 6 of us lost our phones in one single spot! I had even caught the guy’s hand while trying to save myself from tumbling over but it slipped away. I am told at least 35 people got their phones pickpocked😪 https://t.co/I7BqUsz88y
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) August 26, 2019
তিজারাওয়ালা-র টুইটে কমেন্ট করে তার ফোন হওয়ার ঘটনার কথা স্বীকার করে বাবুল জানান, ''কেউ চুরী করেনি দাদা। তবে খুব চালাকীর সঙ্গে পকেট থেকে ফোনটা তুলে নেয়।'' সেই টুইটেই সাংসদ-মন্ত্রী বাবুল জানান কীভাবে একটা ঠেলাঠেলির সৃষ্টি করে একসঙ্গে ৬জনের ফোন চুরি করে পালায় চোর। বাবুলের আরও দাবি, কমপক্ষে ৩৫ জনের মত মানুষের ফোন সেই সন্ধ্যায় খোয়া গিয়েছে।
বাবুল সুপ্রিয়-তিজারাওয়ালা-র দাবিতে কাঠগড়ায় সেদিন অরুণ জেটলির শেষকৃত্যে হাজির থাকা পুলিশের ভূমিকা। রবিবার সন্ধ্যায় নিগামবোধ ঘাটে দেশের তাবড় তাবড় ভিভিআইপি-রা হাজিরা ছিলেন। নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মত। কিন্তু এরমধ্যেও কী করে নিরাপত্তা ব্যবস্থার চোখে ধুলো দিয়ে চোরেরা হাতসাফাই করে গেল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পুলিশের দাবি এখনও এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।