কোভিডের কাঁপুনিতে গোটা দুনিয়া কেঁপে উঠেছিল। গোটা দুনিয়া করোনার কারণে লকডাউনে চলে গিয়েছিল। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, বার্ড ফ্লু-র কাছে করোনাকে বাচ্চা বা শিশু বলা চলে। করোনার চেয়ে বার্ড ফ্লু ১০০ গুণ বেশী বিপজ্জনক। বার্ড ফ্লু-তে মৃত্যুর হার ৫০ শতাংশ। মানে কেউ বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত হলে তার মৃত্যুর সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ। সেখানে করোনায় মৃত্যুর হার তুলনায় অনেক কম। H5N1 হল বার্ড ফ্লুর সবচেয়ে সাধারণ রূপ। বার্ড ফ্লুকে, বার্ড ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং এভিয়ান ফ্লু নামেও ডাকা হয়। ভাইরাস বাহিত এই রোগটি পাখিদের সংক্রমিত করে।
গ্রেট ব্রিটেনের এক ট্যাবলয়েডে প্রকাশ বার্ড ফ্লু-র স্ট্রেন H5N1 ভাইরাস আগামী দিনে গোটা বিশ্বে মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে। H5N1 সংক্রামক গরু, বিড়াল, মানুষ সহ বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে হতে পারে। মার্কিন মুলুকের টেক্সাসে গরুর সংস্পর্শে এসে এক ব্যক্তি বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত হন। বার্ড ফ্লু-কে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জাও বলা হয়। এটি এমন একটি ভাইরাল সংক্রমণ যা প্রাথমিকভাবে পাখিদের মধ্যে আক্রান্ত হয়। পরে বেশ কিছু ক্ষেত্রে মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীকেও সংক্রমিত করতে পারে। ভাইরাসের বেশিরভাগ ফর্ম পাখিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
বার্ড ফ্লু উপসর্গ-
বার্ড ফ্লু শরীরে ঢুকলে জ্বর, কাশি, সর্দি, গলাব্যথা, পেশীতে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট হতে থাকে। সাধারণত হাঁস, মুরগী, পোলট্রির পাখিদের মধ্যে এই রোগ দেখা যায়। এ ভাইরাসটি সাধারণত পাখির শরীর থেকে ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত পাখিরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সহজেই চলে যায় বলে রোগটিও দ্রুত ছড়ায়।