অটল বিহারী বাজপেয়ী (Photo Credits: Getty Images)

নতুন দিল্লি, ২৫ ডিসেম্বর: আজ দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর (Atal Bihari Vajpayee) ৯৫তম জন্ম বার্ষিকী। জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (President Ram Nath Kovind) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Prime Minister Narendra Modi), প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Defence Minister Rajnath Singh), বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) এবং প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি (Lal Krishna Advani) অটল বিহারী বাজপেয়ীকে শ্রদ্ধা জানান। তার আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ভিডিওতে গুণাবলী এবং দেশের রাজনীতি বোঝার জন্য বাজপেয়ীর প্রশংসা করতে শোনা যায়। প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, "অটলজি-কে তাঁর জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি। তিনি যে ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন আমরা সেই ভারত তৈরির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"

অসাধারণ ভাষণীর জন্য সমাদৃত ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। অটল বিহারী বাজপেয়ী তিনবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বাজপেয়ী নিজে কবি ছিলেন। স্পষ্ট ও আবেগপূর্ণ ভাষণ দেওয়ার সঙ্গে তিনি হাসি-মশকরাও করতেন। আমরা দেখে নেব সেই রকম কয়েকটি ভিডিও। আরও পড়ুন:  Gujarat CM Vijay Rupani: ‘হিন্দুদের জন্য একমাত্র দেশ ভারত, মুসলিমরা চলে যেতে পারে’, বললেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি

১৯৯৬ সালে তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় লেকসভায় অটল বিহারী বাজপেয়ী একটি আকর্ষণীয় ভাষণ দিয়েছিলেন। যদিও তিনি তাঁর সরকারের পতন বাঁচাতে পারেননি। জাতির সেবার প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতার বিষয়ে তিনি সেদিন বক্তব্য রেখেছিলেন। তিনি বলেন, "আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ শক্তির কাছে মাথা নত করি। আমরা আপনাদের আশ্বস্ত করছি যে দেশের স্বার্থে আমরা যে কাজ শুরু করেছি তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম করব না।"

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি বিখ্যাত ভাষণ হল পোখরানে পরমাণু পরীক্ষার পর। ভারত পাঁচটি পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ সফলভাবে পরীক্ষা করার পর বাজপেয়ী তা ঘোষণা করেছিলেন। এবং পরে কেন এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল তা সংসদে ব্যাখ্যা করেছিলেন। সংসদে তিনি বলেন, "পোখরান -২ পারমাণবিক পরীক্ষা আত্ম-গৌরব বা সাহস প্রদর্শনের জন্য করা হয়নি। তবে সর্বনিম্ন প্রতিরোধ হওয়া উচিত। এটি আমাদের নীতিতেই রয়েছে। তাই আমরা পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।"

১৯৮০ সালে সংসদের বাইরে বাজপেয়ীর একটি বক্তব্য নিয়ে প্রায়ই চর্চা হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "আন্ধেরা ছাটেগা, সুরজ নিকলেগা, কমল খিলেগা (অন্ধকার চলে যাবে, সূর্য উদিত হবে এবং পদ্মফুল ফুটে উঠবে)।"