গুয়াহাটি, ১০ ডিসেম্বর: অসমে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (Citizenship Amendment Bill 2019) পাসকে কেন্দ্র করে জ্বলছে বিক্ষোভের আগুন। আজ ১০ ডিসেম্বর ১৬ টি বামপন্থী দল ১২ ঘণ্টার জন্য অসমে বনধ ডাকে। এদের মধ্যে নর্থইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন (NESO) ১১ ঘণ্টার বনধ ডাকে।
সেইমতোই বনধ চলছে। গুয়াহাটি (Guwahati) এবং ডিব্রুগড়ে (Dibrugarh) বন্ধ দোকানপাট, স্কুল, কলেজ। বাতিল হয়েছে একাধিক পরীক্ষাও। বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় আগুন টায়ার জ্বালিয়ে, রাস্তাঘাট, জাতীয় সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করছে। দোকানপাট বন্ধ থাকায় অসুবিধায় পড়তে হয় জনসাধারণকে। রাজ্যজুড়ে রয়েছে পুলিশি প্রহরা। অশান্তির কথা মাথায় রেখে অসমের লখিমপুর ও সোনিতপুর জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। খোলা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইন। আরও পড়ুন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাসের বিরোধিতায় অসমজুড়ে তীব্র ক্ষোভ, বন্ধের ডাক নেসো, আসু সহ অন্যান্য বাম দলগুলির
Assam: All Assam Students' Union (AASU) holds a protest in Dibrugarh against #CitizenshipAmendmentBill which was passed in Lok Sabha, yesterday. pic.twitter.com/En1Zl7IgzE
— ANI (@ANI) December 10, 2019
Assam: Locals stage a protest in Dibrugarh against #CitizenshipAmendmentBill. The Bill was passed in Lok Sabha yesterday. pic.twitter.com/4FlzRJk6U9
— ANI (@ANI) December 10, 2019
Assam: People stage protest in Jorabat against #CitizenshipAmendmentBill which was passed in Lok Sabha, yesterday. pic.twitter.com/gEZjGkvMBE
— ANI (@ANI) December 10, 2019
অল অসম ছাত্র সংগঠনও (AASU) বনধের সমর্থনে বিলটির বিরোধিতায় পথে নামে।ভোর ৫ টা থেকে তারা বনধের ডাক দেয়। কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি এই বনধকে সমর্থন জানায়। কেএমএসএসসহ আরও কিছু দল আজ রাজ্যজুড়ে বনধের কর্মসূচি নিয়েছে। এছাড়াও সুতিয়া, মোরান এবং কোচ রাজবংশীর মত আদিবাসী ছাত্র সংগঠনগুলি বন্ধে অংশগ্রহণ করার কথাও জানায়। কেএমএসএস-র সদস্য অখিল গগৈ (Akhil Gogoi) সাংবাদিক বৈঠক করে বিস্তারিতভাবে তা জানান।
রিপোর্ট থেকে ও জানা গেছে কিছু মানুষ অর্ধ নগ্ন হয়ে বিক্ষোভ করছে। অসম ও ত্রিপুরায় লখিমপুর, তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড়, শিবসাগর, জোড়হাট, বংগাইগাওঁ ইত্যাদি এলাকায় বন্ধ স্কুল, কলেজ, দোকাপাট। এসএফআই, ডিওয়াইএফওয়াই, আইসা, এআইএসএফ-এর মত বামপন্থী দলগুলি বিলটি বাতিলের সিদ্ধান্ত দাবি করে রাস্তায় নাম। অসম রাজ্যের জমিয়ত উলমাও এই বিলটির বিরোধিতা করেছে। এমনকি বিলটির বিপক্ষে অরুণাচলপ্রদেশ ছাত্র সংগঠনও বনধে অংশগ্রহণ করে।