অসম, ১০ ডিসেম্বর: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (Citizenship Amendment Bill, 2019) পাসকে কেন্দ্র করে ১০ ডিসেম্বর ১৬ টি বামপন্থী দল ১২ ঘণ্টার জন্য অসমে বনধ ডাকে। এদের মধ্যে নর্থইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন (NESO) ইতিমধ্যে ১১ ঘণ্টার বন্ধ ডাকে। অল অসম ছাত্র সংগঠনও (AASU) বনধের সমর্থনে বিলটির বিরোধিতায় পথে নামবে।ভোর ৫ টা থেকে তারা বনধের ডাক দেয়। কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি এই বন্ধকে সমর্থন জানায়। কেএমএসএসসহ আরও কিছু দল আজ রাজ্যজুড়ে বনধের কর্মসূচি নিয়েছে। এছাড়াও সুতিয়া, মোরান এবং কোচ রাজবংশীর মত আদিবাসী ছাত্র সংগঠনগুলি বন্ধে অংশগ্রহণ করবে। কেএমএসএস-র সদস্য অখিল গগৈ (Akhil Gogoi) সাংবাদিক বৈঠক করে বিস্তারিতভাবে তা জানিয়ে দেন।
এসএফআই, ডিওয়াইএফওয়াই, আইসা, এআইএসএফ-এর মত বামপন্থী দলগুলি বিলটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন। অসম রাজ্যের জমিয়ত উলমাও এই বিলটির বিরোধিতা করেছে। এমনকি বিলটির বিপক্ষে অরুণাচলপ্রদেশ ছাত্র সংগঠনও বন্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদন করে। উৎসব চলার কারণে নাগাল্যান্ড এই বনধ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে না।
আরও পড়ুন, লোকসভায় ৭ ঘণ্টা তর্কবিতর্কের পর মধ্যরাতে পাস নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯
সব মিলিয়ে গোটা উত্তরপূর্ব বিল পাস নিয়ে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে। বিল পাসের আগেও এই নিয়ে চলে দফায় দফায় বিক্ষোভ, মিছিল, মশাল মিছিল। গতকাল একেবারে নাটকীয়ভাবে লোকসভায় মধ্যরাতে পাস হয়ে (Lok Sabha late on Monday) যায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯। এমনিতেই সংসদে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। তাই এনডিএ জোট শরিকদেরও পাশে পেয়েছে। এরপরেও বিরোধীরা এই বিল নিয়ে ভোটাভুটিতে যেতে চাইলে শাসকদলের তরফে কোনও আপত্তি তোলা হয়নি। ভোটে দেখা যায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের তরফে ৩১১টি ভোট পড়েছে। বিরোধিতা করে পড়েছে মাত্র ৮০টি ভোট। তাই বিল পাস হওয়ার পথে কোনও বাধা ছিল না। এদিকে বিল পাস হতে না হতেই বিলের কপি ছিঁড়ে লোকসভায় প্রতিবাদ জানান মিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েসি। বিলের বিরোধিতায় জোড়াল বক্তৃতা দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)ও কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরি (Adhir Chowdhury)।