গুয়াহাটি, ৯ সেপ্টেম্বর: একজন অনুপ্রবেশকারীকেও অসমে থাকতে দেব না। ভারতের মাটিতে অনুপ্রবেশকারীদের কোনও ঠাঁই নেই। দুদিনের অসম সফরে গিয়ে গুয়াহাটিতে একথাই বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর অসমে বিজেপির একাংশ দারুণ অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanto Biswa Sharma) তো চূড়ান্ত তালিকা থেকে হিন্দু বাঙালির বাদ পড়া নিয়ে দারুণ ক্ষুব্ধ। তাঁর নেতৃত্বে এদিন শাহকে স্মারকলিপিও জমা করা হয়। তবে এদেশীয় বাঙালির এনআরসি (NRC) থেকে বাদ পড়া নিয়ে অসমের বিজেপি নেতৃত্বকে আশ্বস্ত করেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে একাধিক বার অসমে (Assam) গেলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এই প্রথম অসমের মাটিতে পা রাখলেন অমিত শাহ।
এই অসমে দাঁড়িয়েই একদা এনআরসি-র তত্ত্বকে মানুষের মনে গেঁথে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। গত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়েঅমিত শাহ বিদেশিদের উইপোকার সঙ্গেও তুলনা করেন। এদিকে, নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ পড়েছেন বিরাট সংখ্যক হিন্দু। ফলে বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীর তত্ত্ব অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে। তাতেই প্রবল বিপাকে পড়েছে রাজ্য বিজেপি। এনিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাঁর মতে, এই এনআরসি অসমকে বিদেশিমুক্ত করতে পারবে না। এর জন্য নতুন পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে যে নাগরিকপঞ্জি তৈরি হচ্ছে তাতে আমার কোনও আশা নেই। খসড়া তালিকা তৈরি হওয়ার সময় থেকেই তা বলছি। প্রকৃত নাগরিকরা বাদ পড়ছেন। তাহলে কীভাবে মেনে নেব এটি রাজ্যের মানুষদের ভালোর জন্য তৈরি হয়েছে?’ আরও পড়ুন-মন্দার জের, ফের হোম লোন ও ফিক্সড ডিপোজিটে সুদ কমাল এসবিআই
গত বছর এনআরসি-র চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশের পরে প্রতিবাদ শুরু হয় অসমে, বাংলায়। তখনই এনআরসিকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেন, নাম বাদ পড়া চল্লিশ লক্ষ মানুষ অনুপ্রবেশকারী। তথ্যবিভ্রাট সামাল দিতে পরে দল বিস্তর চেষ্টা করলেও অমিত শাহর মুখে ‘অনুপ্রবেশকারী’ তকমা পেয়ে ক্ষিপ্ত ছিলেন খসড়াছুটরা। এ বছর ৩১ অগস্ট যখন চূড়ান্ত এনআরসি থেকে ১৯ লক্ষের নাম বাদ পড়ে তখন থেকে ফের বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন, কোথায় গেলেন অমিত শাহর হিসেবে থাকা বাকি ২১ লক্ষ অনুপ্রবেশকারী?