দীপক কুমার (Photo Credit: ANI)

গুয়াহাটি, ১২ ডিসেম্বর: নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতায় অশান্ত অসমে (Assam) উত্তরোত্তর বাড়ছে সমস্যা। কয়েক কম্পানি সেনা নামিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। বিক্ষোভ থামাতে কখনও কখনও শূন্যে গুলি ছুঁড়তে হচ্ছে পুলিশকে। এবার সেই পুলিশি আক্রমণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলল বিক্ষোভকারীরা। বিতর্ক এড়াতে তড়িঘড়ি সরিয়ে দেওয়া হল গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার দীপক কুমারকে (City police chief Deepak Kumar)। তাঁর জায়গায় কমিশনার পদে বহাল হয়েছেন মুন্না প্রসাদ গুপ্তা। এই নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনার মুন্না প্রসাদ গুপ্তা (Munna Prasad Gupta) আগে এসপিজি-তে ছিলেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এই তথ্য দিয়েছেন আশুতোষ অগ্নিহোত্রী। অসমের এজিপি আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিলেন মুকেশ আগরওয়াল। তাঁরও পদের বদল হল। তিনি এখন সিআইডি-র এডিজিপি। তাঁর জায়গায় এসেছেন জিপি সিং।

এই জিপি সিং আগে দিল্লির জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা আইজি-র পদে ছিলেন। একইভাবে সিআইডি-র এডিজিপির পদ থেকে সরতে হয়েছে এলআর বিষ্ণোইকে। তিনি এখন সশস্ত্র পুলিশ প্রশিক্ষণের এডিজিপি হয়েছেন। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এডিজিপি এসএন সিংহ ও আইজিপি আনন্দ প্রকাশ তিওয়ারিকে অসমে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার শহরের রাজপথে যখন বিক্ষোভকারীরা কার্ফিউ অগ্রাহ্য করে প্রতিবাদে শামিল হয় তখনই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শূন্য গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। গুয়াহাটির লালুংগাও এলাকায় যে প্রকাশ্যে গুলি ছুঁড়তে হয়েছে তা মেনে নিয়েছে পুলিশ। এরপরেই বিক্ষোভকারীদের দাবি পুলিশে গুলিতে তাঁদের চার সহযোগী গুরুতর আহত হয়েছেন। গুয়াহাটি শিলং রোড-সহ শহরের বেস কয়েকটি জায়গাট বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশকে শূন্যে গুলি চালাতে হয়েছে। এই গুয়াহাটি শিলং রোডকেই যুদ্ধক্ষেত্র বানিয়ে নিয়ে টায়ার পোড়ানো, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর কোনও কিছুই বাদ রাখেনি বিক্ষোভকারীরা। আরও পড়ুন-Congress Slams PM Modi Over Assam Protest: বন্ধ ইন্টারনেট, অসমের ভাইবোনরা যে নরেন্দ্র মোদির বার্তা দেখতে পাচ্ছে না তা কি তিনি জানেন না? পাল্টা কটাক্ষ কংগ্রেসের

এমনিতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে যখন গোটা দেশ বারুদের স্তূপ হয়ে আছে তখন কিনা অসমে বিক্ষোভকারীদের উপরে গুলি চালাল পুলিশ। এই খবর প্রকাশ্যে এলে বিতর্ক শুরু হয়ে যাবে। তাই আগেভাগেই গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনরাকে সরিয়ে দিয়ে বিতর্কে আগুনে জল ঢেলে দিল প্রশাসন।