লোকসভা নির্বাচনে অন্তিম দফার এখনও বাকি রয়েছে। আগামী ১ জুন আপ শাসিত পঞ্জাবের ১৩টি আসনে ভোটগ্রহণ পর্ব রয়েছে। আর এই নির্বাচনে এনডিএ সরকারকে হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বিরোধী শিবির। যারমধ্যে কংগ্রেস ও আপ অন্যতম। বেশিরভাগ জনসভাতেই দুই দলের নেতাকর্মীদের একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে। দুই দলের নেতৃত্বের মধ্যে এমন ঐক্যতা দেখা যাচ্ছে যে আগামীদিনে যদি ইন্ডিয়া জোটের সরকার গঠনও হয়, তাতে এই দুই দল কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সরকার গঠন করবে বলে ভাবছে সমর্থকেরা। কিন্তু সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল এই মোহভঙ্গ করলেন।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানান. আমাদের দলের সঙ্গের কংগ্রেসের কোনও স্থায়ী বিবাহ হয়নি। আমাদের আপাতত প্রধান লক্ষ্য বিজেপিকে পরাস্থ করা। ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে কী হবে না হবে সেটা পরবর্তীকালে ভেবে দেখব। ৪ জুন ইন্ডিয়া জোট জিতে গেলে দেশবাসীর জন্য বড় চমক অপেক্ষা করছে। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে এই আম আদমি পার্টি দিল্লির তৎকালীন ক্ষমতাধীন কংগ্রেস সরকারকে হারিয়েছিল। সেই সময় দিল্লিকে দূর্নীতিমুক্ত করার জন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিলা দীক্ষিতের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন কেজরিওয়াল। আজ সেই কংগ্রেসের হাতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছেন আপ সুপ্রিমো।
#Exclusive: Arvind Kejriwal says no question of resigning as Delhi Chief Minister#ArvindKejriwal https://t.co/kI5UGbiaHd
— IndiaToday (@IndiaToday) May 29, 2024
যদিও বর্তমানে আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির কড়া নজরে রয়েছে আপ সরকার। এমনকী ভোটের আগে গ্রেফতার হন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। তবে অবশ্য ভোটের আগে শর্তসাপেক্ষে ছাড়া পান তিনি। কিন্তু ১ জুন ভোট মিটলেই ২ জুন তাঁকে ফের জেলে যেতে হবে। এই অবস্থায় কেজরিওয়ালের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ইস্তফার দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। তবে এদিন তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনও মূল্যেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়ছেন না। এবং তিনি জেলে বসেই রাজ্য চালাবে বলে সাফ জানিয়ে দেয়।