Representational Image

নতুন দিল্লি, ২৮ অক্টোবর: লাদাখে (Ladakh ) ভারত ও চিনের (India-China Clash) সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের পর ১৫ মাসেরও বেশি সময় কেটে গেছে। ওই সংঘর্ষের পর পর কেন্দ্রীয় সরকার শতাধিক চিনা অ্যাপের উপরে নিষেধাজ্ঞা (Ban On Chinese Apps) চাপায়। তবে, এখনও ৯০ শতাংশ ভারতীয় চান চিনা অ্যাপের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকুক। IANS-CVoter কনজিউমার ট্র্যাকার অনুসারে, ভারতীয়দের একটি সিংহভাগই শক্তিশালী চিন বিরোধী মনোভাব পোষণ করেন।

এই সমীক্ষায় নমুনার আকার ছিল সারা ভারতে ৩ হাজার। সমীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভারতীয় কম্পানিগুলিতে চিনা বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগে আস্থা আছে কি না? ৯০ শতাংশেরও বেশি ভারতীয় বলেছেন যে তাঁরা আস্থা রাখেন না। মাত্র ৯ শতাংশ ভারতীয় চিনা বিনিয়োগে আস্থা প্রকাশ করেছেন। বিপরীতে, যখন আমেরিকান এফডিআই সম্পর্কে একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন মাত্র ৪০ শতাংশ উত্তরদাতারা না বলেছিলেন, প্রায় ৫৭ শতাংশ আস্থা প্রকাশ করেছিল।

একইভাবে, চিনা অ্যাপ ও কিছু সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন প্রায় ৯০ শতাংশ ভারতীয়। যেখানে প্রায় ৯ শতাংশ এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছেন। প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে অন্য একটি প্রশ্নের উত্তরে ৬৭ শতাংশ ভারতীয় এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন। ২৫ শতাংশেরও কম উত্তরদাতা কেন্দ্রের নীতির বিরোধিতা করেছেন৷ আরও পড়ুন: Bangladesh Durga Puja Violence: দীপাবলিতে আলো নিভিয়ে বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদ জানাবেন ভারতীয়রা, আশা তসলিমার

কিন্তু, কেন এখনও চিনা অ্যাপে নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার পক্ষে বেশিরভাগ ভারতীয়। কারণ হিসেবে উঠে আসছে তিনটি ঘটনা। প্রথমত হল লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে চিনা সামরিক পরিকাঠামো ও সেনার সংখ্যা বাড়িয়েই চলেছে। দ্বিতীয়ত, চিনের সাথে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েই চলেছে। তৃতীয়ত, ভারতীয় মিডিয়া অনেকাংশে পাকিস্তানের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের উপর বেশি ফোকাস করে চলেছে। মনে হচ্ছে সাধারণ ভারতীয়রা মিডিয়া এবং নীতি নির্ধারকদের চিনের কর্মকাণ্ডের দিকে মনোনিবেশ করার জন্য বার্তা পাঠাচ্ছে। সমীক্ষায় একটি প্রশ্ন ছিল, চিনা বিনিয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞা ভারতের স্বার্থে আঘাত করবে কি না? জবাবে ৬৬ শতাংশের কাছাকাছি বলেছেন যে ভারতীয় স্বার্থ প্রভাবিত হবে না এবং ৩২ শতাংশ বলেছেন যে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে।