দিল্লি, ১৭ জুলাই: গত ১২ জুন ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বোয়িং ৭৮৭। আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পর মাত্র ৫-৬ মিনিটের মাথায় ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি (Air India Plane Crash)। আহমেদাবাদ (Ahmedabad Plane Crash) থেকে উড়ে লন্ডনের গ্যাটউইকে অভিমুখ ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটির। কীভাবে বিমানটি ভেঙে পড়ে, তার কারণ এখনও স্পষ্ট হয়নি। বিমান ভেঙে পড়ার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। সম্প্রতি বোয়িং ৭৮৭ এর যে ব্ল্যাক বক্স ছিল, তা খোলা হয়। সেখান থেকে দুই বিমান চালকের কথোপকথনের অংশ প্রকাশ্যে আসে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের। তার জেরে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় এ বিষয়ে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের ওই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ আহমেদাবাদ থেকে ওড়ার পর যখন তার গতি টালমাটাল শুরু হয়, সেই সময় হঠাৎ করে বিমানের জ্বালানির সুইচ বন্ধ হয়ে যায়। যা দেখে বিমেনের এক চালক অন্যজনকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কেন উড়ানের জ্বালানির সুইচ বন্ধ করে দিয়েছেন। যা শুনে অন্যজন বলেন, তিনি কোনও সুইচ বন্ধ করেননি। ওইদিন বিমানের কোন চালক কাকে প্রশ্ন করছেন এবং কে উত্তর দিচ্ছেন, সে বিষয়ে এখনও কিছু স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত ওই বিমানের ক্যাপ্টেন অর্থাৎ প্রধান চালক ছিলেন অভিজ্ঞ সুমিত সবরওয়াল। অন্যদিকে সুমিত সবরওয়ালের সহকারী চালক ছিলেন লাইভ কুন্দর। বিমান ভেঙে পড়ার আগে উড়ানে যে অস্থিরতা তৈরি হয়, তাতেও উড়ানের এক চালকের গলা একেবারে স্থির শোনা যায়। জীবন বিপন্ন জেনেও যাঁর গলা একেবারে স্থির শোনা যায়, তিনি বিমানের ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়াল বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। অর্থাৎ দুর্ঘটনার মুহূর্তেও বিমানের প্রধান চালক সুমিত সবরওয়াল অত্যন্ত শান্ত, ধীর চিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যাচ্ছে না বলেই মনে করা হচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত, এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য কে বা কারা দায়ি, সে বিষয়ে কিছুই নিশ্চিত নয়।
আরও পড়ুন: Flight Video: উড়তে উড়তে ২৬ হাজার ফুট নীচে পড়ল বিমান, ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার... দেখুন ভিডিয়ো
১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িংয়ে ছিলেন ২৪২ জন যাত্রী। বিমানটি ওড়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যে আহমেদাবাদের একটি মেডিকেল হস্টেলের ছাদের উপর গিয়ে ভেঙে পড়ে। ফলে সেই হস্টেলের অনেকেও আহত হন। নিহত বেশ কয়েকজন। এসবের পাশাপাশি বিমানে থাকা ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে মাত্র ১ জন বেঁচে ফেরেন অলৌকিকভাবে। বাকিদের মৃত্যু হয় পুড়ে, ঝলসে গিয়ে। মৃতদেহ তালিকায় বিমানের ২ চালক এবং ১০ জন ক্রুও রয়েছেন।